গত বৃহস্পতিবার (১৭ মে) নড়াইল জেলার নালিশী আদালতে প্রতারণার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় হাজিরা দিতে গেলে বিচারক জাহিদুল আজাদ তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আটক আলমগীর হোসেন খান বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের উপ-রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, আলমগীর সিঙ্গাপুর পাঠানোর কথা বলে ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তির মাধ্যমে অহিদুজ্জামান ও শাহিদুল ইসলামের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নেন। ভুক্তভোগী অহিদুজ্জামানের বাড়ি নড়াইল সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামে।
অপরদিকে, শাহিদুল ইসলামের বাড়ি একই জেলার সদর থানার বাগবাড়ি গ্রামে। ভুক্তভোগী অহিদুজ্জামান ও শহিদুল ইসলামের সঙ্গে আলমগীর খানের পূর্ব থেকে পরিচয় ছিল। আলমগীর ছয় মাসের মধ্যে তাদের সিঙ্গাপুর পাঠানোর বিষয়ে চূড়ান্ত কথা দেন। সে অনুযায়ী তাদের দু’জনের পাসপোর্ট করে দেন। পাসপোর্ট হাতে পেয়ে আলমগীরের ওপর তাদের বিশ্বাস বেড়ে যায়।
কিন্তু ছয় মাস পার হওয়ার পরে আলমগীর তাদের সঙ্গে টালবাহনা করতে থাকেন। এতে তাদের সন্দেহ হয়। টাকা ফেরত চাইলে গড়িমসি শুরু করে দেন আলমগীর।
নিরুপায় হয়ে ২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর লিখিত স্ট্যাম্পের চুক্তিনামা দেখিয়ে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে নড়াইল সদর নালিশী আদালতে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আলমগীরের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। সমন পেয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন তিনি। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৮
আরএ