ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অভয়নগরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৮ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৮
অভয়নগরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩

যশোর: যশোরের অভয়নগরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছেন। তারা সবাই মাদক বিক্রেতা বলে জানিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

শুক্রবার (১৮ মে) দিনগত রাতে উপজেলার বাগডাঙ্গা-মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  নিহতরা হলেন, অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের সাত্তার কাঁসারীর ছেলে মিলন কাঁসারী (৪০), একই গ্রামের বারিক শেখের ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে হাবি শেখ  (৩৮) ও  কাদের আলী মোড়লের ছেলে আবুল কালাম (৪৭)।

র‌্যাব-৬ (খুলনা) এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কর্নেল জাহিদ বাংলানিউজকে জানান, নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে শুক্রবার রাতে অভয়নগর উপজেলার পায়রা-নওয়াপাড়া সড়কে চেকপোস্ট বসানো হয়। রাত আড়াইটার দিকে চেকপোস্টে সন্দেহজনক মনে হলে একটি মোটরসাইকেল থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি মোটরসাইকেলের তিন আরোহী অতর্কিতভাবে র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি শুরু করে।  

‘আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়েন। প্রায় ২০ মিনিট গুলিবিনিময় চলে। পরে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তাদের মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ’

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুইটি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন, একটি চাইনিজ কুড়াল ও ৪০০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।  

র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রথম মোটরসাইকেলসহ আরোহী পালিয়ে গেলেও ধারণা করা হচ্ছে- তারা মাদক বিক্রেতাদের সোর্স হিসেবে রাস্তার হালচাল জানাচ্ছিল।  

এদিকে নিহতদের বৃহস্পতিবার (১৭ মে) গভীর রাতে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করে আসছিলেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে প্রথমে র‌্যাব পরিচয়ে নওয়াপাড়া গ্রামের চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা মিলন কাশারির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৩০০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ তাকে আটক করা হয়।

মিলনের স্ত্রীর অভিযোগ, মিলনের তথ্যের ভিত্তিতে তার সহযোগী ও ফেনসিডিলের প্রকৃত মালিক একই গ্রামের হাবিবুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকেও আটক করা হয়। আটক করা হয় কালামকেও। তবে পরদিন পরিবার থানা ও র‌্যাব ক্যাম্পে গিয়ে তারা কোনো তথ্য পাননি।

এ বিষয়ে র‌্যাবের কমান্ডার লে. কর্নেল জাহিদ বলেন, এটা ভিত্তিহীন কথা। নিহতরা চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। এই রুট দিয়ে যশোরের কেশবপুর-নওয়াপাড়ায় মাদক চোরাচালান হয়, এটি মাদকের অভয়ারণ্য এলাকা। ফলে নিহতরা রুট বদল করে এ ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে।

এদিকে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গণি মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার ভোরে র‍্যাব তিনটি মরদেহ আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য এসব মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৪ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৮/আপডেট: ১১৩১ ঘণ্টা
ইউজি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।