ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জাতীয় জাদুঘরে ‘আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস’ উদযাপন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৮
জাতীয় জাদুঘরে ‘আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস’ উদযাপন সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন হাসানুল হক ইনু। ছবি- বাংলানিউজ

ঢাকা: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও অনুষ্ঠিত হলো ‘আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস-২০১৮’। জাদুঘরগুলোর আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব মিউজিয়াম (আইসিওএম) প্রদত্ত ‘বহুধা সংযুক্ত জাদুঘর: নতুন প্রয়াস, নতুন প্রজন্ম’ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত হয় এবারের জাদুঘর দিবস।

শুক্রবার (১৮ মে) দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হয় ‘শিকড় সন্ধানী গবেষক: ড. নলিনীকান্ত ভট্টশালী’ শীর্ষক সেমিনার।  

জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বিকেলে এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক ড. এনামুল হক এবং ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. আবদুল মোমিন চৌধুরী। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। প্রবন্ধ পাঠ করেন লেখক ও গবেষক আলী ইমাম।

হাসানুল হক ইনু বলেন, ইতিহাস, ঐতিহ্য, প্রত্নতত্ত্ব এবং জাদুঘর চর্চার মাধ্যমে সন্ত্রাস ও মৌলবাদকে প্রতিহত করে আগামী প্রজন্মের কাছে হাজার বছরের গৌরবময় ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। তবেই তারা পৃথিবীতে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে।

প্রবন্ধকার আলী ইমাম তার আলাচনায় বলেন, নলিনীকান্ত ভট্টশালী ছিলেন নিবেদিত প্রাণ জাদুঘর বিশারদ, মূর্তিতাত্ত্বিক, প্রত্নতাত্ত্বিক, ইতিহাসবিদ, সর্বোপরি দেশপ্রেমিক বাঙালি গবেষক। ১৯১৩ সালে ঢাকা জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হলে ১৯১৪ সালে প্রথম কিউরেটর নিযুক্ত হন। মৃত্যুর আগে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি এ পদে ছিলেন। নিজে প্রত্নবস্তু সংগ্রহ করতেন, সংরক্ষণ করতেন, ছবি তুলতেন, গবেষণা করতেন, প্রদর্শনী ও প্রকাশনা করতেন।
 
অধ্যাপক আবদুল মমিন চৌধুরী বলেন, নলিনীকান্ত ভট্টশালীর জীবনে কখনও আর্থিক সচ্ছলতা ছিল না। ১১৩ টাকায় চাকরি শুরু করেন এবং মৃত্যুকালীন তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছিল ২শ’ টাকা। ঢাকা জাদুঘর তৈরিতে নলিনীকান্তের অবদান অনস্বীকার্য।  

জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক ড. এনামুল হক বলেন, নলিনীকান্ত ভট্টশালী ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক। দূরদর্শী মানুষ ছিলেন নলিনীকান্ত। আরবী মুদ্রা অনুবাদ করার জন্য আরবী শিখেছিলেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, আগামী প্রজন্ম তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে দেশ-বিদেশের নানা তথ্য ঘরে বসে জানতে পারছে। ফলে তারা জাদুঘর বিমুখী হয়ে পড়ছে। তারা আমাদের গৌরবময় ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে যানতে আগ্রহী। এজন্য জাদুঘরকে তথ্যপ্রযুক্তির নানা উপকরণ দিয়ে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে, যার মাধ্যমে আগামী প্রজন্ম জাদুঘর সম্পর্কে আগ্রহী হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৮
এইচএমএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।