ভুক্তভোগীরা বলছেন, এ ঘাটে ভেড়ানোর পর নৌযান থেকে যাত্রীদের নামতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। আর মালামাল ওঠানো বা নামানোর কাজও বিঘ্নিত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতি সপ্তাহেই পৌর শহরের ব্যবসায়ীদের মালামালবাহী নৌযান বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পন্টুনে ভিড়তো। ওই সময় নিয়মিত ব্যস্ত ঘাট হিসেবেই পরিচিত এ লঞ্চঘাট।
কিন্তু বেশ কয়েকদিন আগে আন্ধারমানিক নদীর লোনা পানিতে পন্টুনটি ছিদ্র হয়ে তলিয়ে যায়। জোয়ারের সময় পন্টুনটি পুরোপুরি তলিয়ে থাকে। ফলে নৌযানকে পন্টুনে ভিড়তে ভাটার জন্য অপেক্ষা করতে হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী পরাণ চন্দ্র বিশ্বাস ও ঘাটের শ্রমিক সরদার সোবাহান হাওলাদার বাংলানিউজকে জানান, এক সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লঞ্চ ও মালামালবাহী জাহাজ এ টার্মিনালে ভিড়ত। তখন ছিল লঞ্চঘাটটি জমজমাট।
এখন ঢাকা থেকে দোতালা লঞ্চ না আসলেও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহনের জন্য প্রতি সপ্তাহে ঘাটে কার্গো পন্টুনে ভেড়ানো হয়। বেশ কিছুদিন ধরে পন্টুনটি নদীর পানিতে তলিয়ে থাকায় ছোট খাট লঞ্চ, ট্রলারসহ কার্গো ভিড়তে পারছে না।
ঘাট ইজারদার মো. গোলাম রব্বানী শামীম বাংলানিউজকে জানান, সমস্যার কথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আশা করি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পটুয়াখালীর নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক (নৌ-পরিবহন) খাজা সাদিকুর রহমান জানান, পন্টুনটি সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। আশা করি ওই ঘাটে দ্রুত নতুন পন্টুন স্থাপন করা সম্ভব হবে ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৮
এমএস/এমএ