তবে অন্যরাও কম যায়নি। ক্রেতা সাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে যতোটুকু পারা যায় তার সবটুকু উজার করে দোকানের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।
শুক্রবার (১৮ মে) শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথা, কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, কাঠালতলা, গোহাইল রোডসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
পবিত্র রমজানের প্রথমদিন হওয়ায় সকাল থেকেই হোটেল, ভ্রাম্যমাণ ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ইফতার সামগ্রী বেচাকেনার জায়গায়টা আগেই ঠিকঠাক করে নেন। এরপর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডেকোরেশনের কাজ সম্পন্ন করেন তারা। দুপুর গড়াতেই দোকানে দোকানে ইফতার সামগ্রীতে ভরে যায়।
এছাড়া নানা কারণে নানাভাবে বগুড়া একটি ঐতিহ্যের শহর। সেই ঐতিহ্যের মধ্যে এখানকার তৈরি লোভনীয় স্বাদের বাহারি ইফতার সামগ্রীও পড়ে। তাই সেই ঐতিহ্য আর সুনামের ধারায় ইফতার সামগ্রী তৈরি করেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। এক্ষেত্রে নানা শ্রেণীপেশার মানুষের রুচি ও ক্রয় ক্ষমতাকেও প্রাধান্য দিয়ে থাকেন স্থানীয়রা ব্যবসায়ীরা। ইফতার আইটেমে সাধারণ ইফতার সামগ্রীর কোনো কমতি রাখেন না ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি মুরগি, মোরগ পোলাও, খাসির রোস্ট, কিমা, খাসির রান, কোয়েল, কবুতর ভুনা, বেগুনি, শাহী জিলাপি, শরবত, সুতি কাবাব, টিকা কাবাব, জালি কাবাব, আলুর চপ, দইবড়াসহ বাহারি আইটেমের ইফতার সামগ্রী তৈরি করা থাকে।
লোভনীয় স্বাদের বাহারি পদের এসব ইফতার সামগ্রীর স্বাদ আস্বাদনে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এখানে এসে থাকেন। অবশ্য এসব ইফতার সামগ্রীর স্বাদ আস্বাদনে বেশ আগেই শহরে আসতে হয়।
নির্দিষ্ট হোটেলগুলোয় দল বেঁধে বা একা একাই যে যার মতো করে আসনে বসে পড়েন। বয়দের পছন্দ অনুযায়ী অর্ডার দিয়ে থাকেন। তবে ইফতার আয়োজনের মূল আকর্ষণটা শতবর্ষী আকবরিয়া গ্র্যাণ্ড হোটেল। পাশাপাশি রয়েছে হোটেল শ্যামলী, কোয়ালিটি, এশিয়া, সেলিমসহ আরও বেশ কয়েকটি হোটেল-রেস্তোরাঁ।
এদিকে রমজানের প্রথমদিন থেকে শেষ পর্যন্ত শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা ইফতার সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসে পড়েন। ইফতারের সময় গড়িয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এসব দোকানে বেচাকেনার চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তখন কোনো দোকানির যেন দম ফেলার ফুসরত থাকে না।
মহিদুল ইসলাম, আশরাফ আলী, মোমিনুল ইসলামসহ একাধিক দোকানি বাংলানিউজকে জানান, ইফতার সামগ্রীর দাম আগের মতোই রাখা হয়েছে। তবে অনেক আইটেমে খরচ ভেদে দাম বেড়েছে এ কথা ঠিক। কিন্তু গেল বছরের মতো লাভ নির্ধারণ করে প্রতিটি ইফতার সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে।
শরিফুল ইসলাম, নাইমাজামান, আবু জাফরসহ একাধিক ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, ইফতার সামগ্রী তৈরিতে ঐতিহ্য বা সুনামের কোনো কমতি রাখেননি দোকানিরা। তবে প্রত্যেক আইটেমের দাম গত বছরের চেয়ে বেশি বলে অভিযোগ করেন। এতে করে তাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের ইফতার সামগ্রী কিনতে চরম হিমশিম খেতে হয় বলেও যোগ করেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৮
এমবিএইচ/আরবি/