ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ময়মনসিংহে কমতি নেই ইফতার আয়োজনে 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৫ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৮
ময়মনসিংহে কমতি নেই ইফতার আয়োজনে  ময়মনসিংহে ইফতার আয়োজন- ছবি-অনিক খান 

ময়মনসিংহ: সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজানের প্রথম দিন। শুক্রবার (১৮ মে) সকাল থেকেই নগরীর হোটেল-রেস্তোরাঁ ও চায়ের দোকানগুলো বেশ ফাঁকা। তবে বিকেল হতেই প্রথম রমজানে হোটেল-রেস্তোরাঁ, ফুটপাত কিংবা রাস্তার ধারে বসা ইফতার সামগ্রী কিনতে ভিড় করছেন সবাই। ফলে বদলে গেছে ময়মনসিংহ নগরীর নিত্যদিনের চেহারা।

নগরীর বিভিন্ন মোড় বা গলির ছোট্ট দোকানের ছোলা-মুড়ি, বুট-পেঁয়াজু, বেগুনিসহ ইফতারের নানা পদের সমাহার যেমন রয়েছে তেমনি মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্তদের জন্য বাহারি ইফতারের আয়োজন করেছে সারিন্দা, ধানসিঁড়ি, রোম থ্রিসহ বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট। বিকেল হতেই এসব রেস্টুরেন্টের সমানে যেন পা ফেলার জায়গা নেই।

 

তবে প্রতিটি ইফতার সামগ্রীর দামই গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। তবে দাম যেমনই হোক দেশি-বিদেশি স্বাদের ইফতার সামগ্রী নিয়ে রমজানের প্রথম দিনেই বিকেল থেকে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।  

দেখা গেছে, নগরীর সি.কে.ঘোষ রোডস্থ সারিন্দা রেস্টুরেন্টে সর্বোচ্চ ৩৫ প্রকারের ইফতার সামগ্রীর পসরা সাজানো হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-বুট, পেঁয়াজু, চিকেন টোস্ট, চিকেন তান্দুরি, চিকেন ফ্রাই, গ্রিল, শাক পাকুড়া, সবজি পাকুড়া, শামী কাবাব, জালি কাবাব, হালিম, ঘিয়ে ভাজা জিলাপি ও বোম্বে জিলাপি।  

নানা স্বাদের এমন ইফতার মিলছে নগরীর নতুন বাজার এলাকার রোম থ্রি রেস্টুরেন্টেও। এ রেস্টুরেন্টের সামনেই টেবিল পেতে বিক্রি চলছে। এখানেও ছোলা-পেঁয়াজুসহ প্রায় ২৫ থেকে ৩০ প্রকারের পদ বিক্রি হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য আইটেমসমূহের মধ্যে রয়েছে জিলাপি, বেগুনি, মুরগির গ্রিল, আলুর চপ, চিকেন অনথন, চিকেন রোল, ভেজিটেবল টোস্ট, চিকেন ফ্রাই, স্পেশাল অনথন ও স্পেশাল হালিম।  

ইফতার আইটেমে নিজেদের আভিজাত্য ধরে রাখার বিষয়ে সারিন্দা রেস্টুরেন্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার মো. মিঠুন বাংলানিউজকে বলেন, সারাদিন রোজা রেখে সাধারণত রোজাদাররা মজাদার আইটেমের দিকে ঝুঁকেন। তাদের বিষয়টি খেয়াল রেখেই আমরা সব সময় স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু ইফতার বিক্রি করি।  

তিনি জানান, প্রথম রমজানেই ইফতার বিক্রিতে রোজাদারদের কাঙ্খিত সাড়া পেয়েছেন। গত দুই বছরের তুলনায় এবার বিক্রি আরও বাড়বে।  

ঘুরে দেখা যায়, এদিন জুম্মার নামাজের পর থেকেই নগরীর বিভিন্ন মোড়ের দোকানে শুরু হয়েছে ইফতারের প্রস্তুতি। শামিয়ানা খাটিয়ে দোকানের পাশেই বসেছে ইফতারের পসরা। মুড়ি, বুট, খেজুর, জিলাপি, বেগুনি, আলুর চপ, বুরিন্দাসহ নানা ইফতার সামগ্রী তৈরি করে বিক্রেতারা দুপুর থেকেই হাঁকডাক শুরু করেছেন।

এখানে-সেখানে হরেক আইটেমের জিলাপিরও পসরা বসেছে। এর মধ্যে নগরীর জিলা স্কুল মোড়ের জাকির মিয়ার টক জিলাপির আলাদা ঐতিহ্য রয়েছে। রোজাদারদের কাছে এ জিলাপির কদর বেশ। গতবার থেকে এবার দাম কিছুটা বেড়েছে। এবার ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এ জিলাপি।

ইফতারে অনেকে ফল খেতে পছন্দ করেন। ফলে নগরীর নতুন বাজার এলাকায় ফলের দোকানগুলোও ক্রেতাদের পদচারণায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। হরেক রকমের আম, আপেল, মাল্টা, আঙুরসহ বিভিন্ন রকম ফল কিনছেন অনেকেই। দামও হাতের নাগালে।  

তবে ইফতারের অপরিহার্য উপাদান খেজুর বিক্রির পরিমাণ অনেক বেড়েছে। প্রকারভেদে দেড়শ থেকে আড়াইশ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান ফল দোকানি সুজন মোল্লা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৮ 
এমএএএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।