বৃহস্পতিবার (১৭ মে) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সম্পা জাহানের আদালতে স্বীকারোক্তি দেয় আসামি তালেব মিয়া ও জাকারিয়া আহমেদ শুভ।
এরপর বিকেলে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা জানান, লন্ডন প্রবাসীর স্ত্রী রুমী ও তার মা মালা বেগম বাড়িতে থাকতেন।
শনিবার (১২ মে) শুভ রুমীদের পাশের বাড়ির ফারুক চৌধুরীর কর্মরত শ্রমিক তালেব মিয়ার সঙ্গে দেখা করে তাকে একটি দোকানে আপ্যায়ন করে এবং মোবাইলে থাকা পর্নোগ্রাফি দেখায়। এরপর তারা পরিকল্পনা করেন রোববার (১৩ মে) রাতে গিয়ে তারা রুমীকে ধর্ষণ করবেন। রোববার রাত সাড়ে ১০টায় ওই বাড়িতে গিয়ে প্রথমে প্রবাসীর মা মালা বেগমকে দাদী সম্বোধন করে ডাক দেয় এবং গেট খুলতে বলেন তালেব মিয়া। গেট খুলার পর তালেব মিয়ার সঙ্গে শুভও ভেতরে ঢুকে। তখন মালা বেগম ওই ছেলের পরিচয় জানতে চাইলে শুভ ছুরি দিয়ে তাকে আঘাত করেন। এ সময় রুমী চিৎকার দিলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে তারা দুইজনেই ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় স্থানীয়রা তাদের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের মরদেহ দেখতে পান। এ ঘটনায় পরদিন রাতে নিহত রুমীর ভাই ডা. নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) হাবিবুর রহমানকে।
** হবিগঞ্জে যুক্তরাজ্য প্রবাসীর মা ও স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৮
এসআরএস/এনটি