বৃহস্পতিবার (১৭ মে) সকালে দাউদকান্দি এলাকার গৌরিপুর থেকে মেঘনা গোমতী সেতুর টোলপ্লাজা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটারে নেমে আসে এই যানজট। দুপুরের পর এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত যানজট দাউদকান্দি টোলপ্লাজা থেকে দাউদকান্দি থানা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটারে নেমে এসেছে।
এদিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া এলাকাতে সকালে যানজট থাকলেও, দুপুরের পর তেমন যানজট এখন নেই। যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলতে দেখা যায়।
বুধবার (১৬ মে) সারাদিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে প্রায় ৩৫ কিমি রাস্তা যানজট ছিল।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুরের পর থেকে মহাসড়কের যানজটের অবস্থা উন্নতির দিকে। সকালে জট থাকলেও যানবাহনগুলো থেমে থেমে ঢাকার দিকে চলে যায়। তবে গতকালের মতো আজও মহাসড়কে পণ্যবাহী ভারি যানবাহনের সংখ্যা বেশি।
মেঘনা-গোমতী সেতুটি ঢালু হওয়ায় পণ্যবাহী ভারি যানবাহনগুলো সেতু পার হতে ধীর গতি হয়ে যায়, একইসঙ্গে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে এই অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া ধীর গতির টোল আদায় ও চারলেনের মহাসড়ক থেকে দুই লেনের সেতু পার হতে গিয়েও এই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান এ সড়কে চলাচলকারী বেশ কিছু যাত্রী।
অন্যদিকে রমজান মাসে এ মহাসড়কে গাড়ির বাড়তি চাপ শুরু হবে। তাই অতিদ্রুত এই পরিস্থিতি সমাধান না করলে মানুষের দুর্ভোগ এর থেকেও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সবাই। ।
দাউদকান্দিতে দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতি সেতু, মুন্সীগঞ্জে দ্বিতীয় মেঘনা সেতু ও নারায়ণগঞ্জে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। নিম্ন কাজ সম্পন্ন হলে যানজট অনেকাংশে কমে যাবে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা।
দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, কুমিল্লা অংশে আধা কিমির মতো যানজট রয়েছে। এখন পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৮
এনএইচটি