ব্যস্ততম বন্দরবাজার মুড়ের সড়কের এই ডিভাইডারের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হন লালদিঘীরপাড়, মহাজন পট্টি, কালিঘাট, কামালগড়, ব্রাক্ষময়ীবাজার, হকার্স মার্কেট ও করিমউল্লাহ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। অপরিকল্পিত ডিভাইডারটি সরিয়ে নিতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন ব্যবসায়ীরা।
অবশেষে জনদুর্ভোগ লাঘবে লোহার তৈরি সড়ক ডিভাইডার অপসারণ করলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
বুধবার (১৬ মে) দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে সঙ্গে নিয়ে নগরের বন্দরবাজার সড়কের সংযোগস্থলে স্থাপিত লোহার পাইপ দিয়ে তৈরি ডিভাইডারের ১৮ ফুট তুলে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ডিভাইডার কয়েকটি এলাকার মানুষের ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিবন্ধক হয়েছিল। যে কারণে সড়কের ১৮ ফুট ডিভাইডার অপসারণ করা হয়েছে, যাতে একটি গাড়ি চলাচল করতে পারে।
তিনি বলেন, নগরের যান চলাচলে শৃঙ্খলার জন্য রিকশার লেন করেছিলাম। কারাগারে থাকাকালে রিকশার লেন উঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ বিভাগ থেকে চিঠি দিয়ে ট্রাফিকিং সিস্টেমের জন্য এসব লেন করানো হয়। কিন্তু এই লেন কয়েকটি এলাকার মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
এদিকে, ব্যবসায়ীরা বলেন, নগরের ব্যস্ততম হকার্স মার্কেট, মহাজনপট্টি, লালদিঘীর পাড়, কামালগড় এলাকা ও করিমউল্লাহ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের যাতায়াতে প্রতিবন্ধক ছিল এই সড়ক ডিভাইডার। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে দমকল বাহিনীর গাড়ি প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে আসতে হতো। জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ডিভাইডারটি অপসারণে মেয়রকে ধন্যবাদ জানান ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৩ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৮
এনইউ/জেডএস