ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

তামাকের কর নীতিমালা প্রণয়নের দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৫ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৮
তামাকের কর নীতিমালা প্রণয়নের দাবি সভা। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: রাজশাহীতে তামাক বিরোধী মিডিয়া জোটের সভায় তামাকের কর নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানানো হয়েছে।

বুধবার (১৬ মে) দুপুরে তামাক বিরোধী মিডিয়া জোটের (আত্মা) আঞ্চলিক সভায় বক্তারা এ দাবি জানান।

মহানগরীর সাগরপাড়ায় এসিডি কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

আত্মার সদস্য ও সময় টিভি বগুড়ার প্রতিনিধি মাজেদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এসিডির অ্যাডভোকেসি অফিসার শরিফুল ইসলাম শামীম।

সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট শরীফ সুমন, দৈনিক আমাদের রাজশাহীর চিফ রিপোর্টার জিয়াউল হক জিয়া, বাংলাভিশনের রাজশাহী প্রতিনিধি পারিতোষ চৌধুরী আদিত্য, এসএ টিভির  চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আহসান হাবিব, দৈনিক সোনার দেশ গোদাগাড়ী উপজেলা প্রতিনিধি একে তোতা, দৈনিক নতুন প্রভাতের বার্তা সম্পাদক সোহেল মাহবুব, দৈনিক সোনার দেশের সিনিয়র রিপোর্টার দুলাল আবদুল্লাহ, দৈনিক জনদেশের নাটোর প্রতিনিধি মোবারক হোসেন, এসিডির প্রোগ্রাম অফিসার তুহিন ইসলাম, কৃষ্ণা রানী প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, তামাক ও তামাকজাত পণ্য স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে ৪৩ শতাংশ অর্থাৎ ৪ কোটি ১৩ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক সেবন করেন, যার মধ্যে ২৩% (২ কোটি ১৯ লক্ষ) ধূমপানের মাধ্যমে তামাক ব্যবহার করেন এবং ২৭.২% (২ কোটি ৫৯ লাখ) ধোঁয়াবিহীন তামাক (জর্দা, গুল, খৈনি, সাদাপাতা) ব্যবহার করেন। এই ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারের হার নারীদের মধ্যে অনেক বেশি।

বাংলাদেশে তামাকের ওপর শুল্ক-কাঠামো অত্যন্ত জটিল যেমন: সিগারেটের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন মূল্যস্তর, গুল-জর্দার ক্ষেত্রে এক্স-ফ্যাক্টরি প্রাইস ইত্যাদি প্রথা চালু আছে। মাথাপিছু আয়বৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতিকে বিবেচনা করে তামাক পণ্যকে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে হারে তামাক কর আরোপ করা প্রয়োজন এ জটিল কাঠামোর কারণে তা কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা যাচ্ছে না।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৪ সালের তথ্য বলছে, পৃথিবীর যেসব দেশে তামাকপণ্যের দাম অত্যন্ত সস্তা বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। ফলে সামগ্রিকভাবে রাজস্ব থেকে বিরত হচ্ছে সরকার, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জনস্বাস্থ্য, পক্ষান্তরে লাভবান হচ্ছে তামাক কোম্পানি। তামাকের উপর বিদ্যমান কর কাঠামো পরিবর্তন করে একটি একক কর নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। তামাকের কর বাড়িয়ে তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত রাখা সম্ভব। জনসচেতনতা তৈরির জন্য তামাকের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে বেশি বেশি সংবাদ উপস্থাপন করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৮
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।