মঙ্গলবার (১৫ মে) বিকেলে মামুদনগর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। রেজা ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র ও উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের চারাবাগ গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।
বুধবার (১৬ মে) সকালে স্কুলছাত্রের বাবা আব্দুর রহমান বিচার চেয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
নির্বাহী কার্যালয় ও আহত স্কুলছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সহপাঠীর সঙ্গে দুষ্টামির অভিযোগে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল স্কুলছাত্র রেজাকে হাঁটু গেড়ে বসিয়ে স্কেল দিয়ে পিটিয়ে জখম করে।
স্কুলছাত্রের বাবা আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার সকালে প্রতিদিনের ন্যায় স্কুলে যায় রেজা। পরে দুষ্টামির ছলে রেজার হাতে লেগে মুখে সামান্য আঘাত পায় তারই এক সহপাঠী। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল তার ছেলেকে (রেজা) হাঁটু গেরে বসিয়ে স্কেল দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। স্কেল দিয়ে পেটানোর একপর্যায়ে রেজার প্যান্ট পর্যন্ত ছিঁড়ে যায়।
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমা শাহীন বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল ছাত্র নির্যাতনের ঘটনা স্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, সহপাঠীর গায়ে আঘাত করার কারণে ও পরিস্থিতি শান্ত রাখার স্বার্থে স্কুলছাত্র রেজাকে শাসন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৮
এসআরএস/