ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মর্যাদা সম্পন্ন সফরের অভিজ্ঞতায় ইয়ুথ ডেলিগেশন টিম

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
মর্যাদা সম্পন্ন সফরের অভিজ্ঞতায় ইয়ুথ ডেলিগেশন টিম নিজেদের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরছেন ইয়ুথ ডেলিগেশন টিমের সদস্যরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ‘দিল্লির মিষ্টিগুলো সুস্বাদু। এতটাই যে, আমি অন্য খাবারের থেকে ওই মিষ্টির প্রতিই বেশি ঝুকে ছিলাম।’ বলছিলেন খৈয়াম শানু সন্ধী। সম্প্রতি তিনিসহ ১০০ জনের বাংলাদেশি তরুণ দল ভারতীয় সরকারের উদ্যোগে ঘুরে এসেছেন দেশটি। 

ডেলিগেটস এ দলের ভ্রমণের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বিনিময়ে মঙ্গলবার (১৫ মে) বিকেলে হয়ে গেলো 'ইয়ুথ ডেলিগেশন ২০১৮'।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ফ্যাকাল্টি অডিটেরিয়ামে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং পুনর্মিলনীর এ আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন সফরকারীরা।

 

ইয়ুথ ডেলিগেশন টিমের সদস্য মোজাফফর হোসেন বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রায় প্রতিবছরই নানা উপলক্ষে বিভিন্ন দেশে ডেলিগেটস পাঠানো হয়। এসব ক্ষেত্রে সিনিরয়দের আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমলারা যান। কিন্তু ভারত সরকার যে ১০০ বাংলাদেশি তরুণকে এ মর্যাদাসসম্পন্ন সফরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন, এটা অনেক বড় ব্যাপার।  

‘বাংলাদেশ তো বটেই। গোটা বিশ্বই এখন তারুণ্য নির্ভর নেতৃত্বের হাতে চলে যাচ্ছে। তাই দেশের বিভিন্ন অঙ্গন থেকে আমরা শত তরুণের যে দল সম্প্রতি ভারতের দিল্লি ও মুম্বাই থেকে ফিরে আসলাম, তা শুধু প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের অগ্রযাত্রা নয়, নিজেদের অবস্থানটাও মিলিয়ে দেখা হলো। ’

তিনি বলেন, আমরা রিসোর্সে পিছিয়ে আছি, সেটা মনে হয়নি। আমাদের এখন নতুন উদ্যমে সততার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার। সব মিলে খুব ভালো একটা অভিজ্ঞতা হলো। এ তারুণ্যশক্তির ভাববিনিময় অন্যান্য দেশের সঙ্গেও হওয়া উচিৎ।

জয়শ্রী ভাদুড়ী বলেন, এক কথায় ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এ ভ্রমণ ছিল অসাধারণ। এ ভ্রমণের মধ্য দিয়ে প্রতিবেশী দেশটির অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পেরেছি। অনেক দর্শনীয় স্থান ঘুরে ঘুরে দেখেছি। আর সবচে বড় কথা হচ্ছে ভারতের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হয়েছে এ ভ্রমণের মধ্য দিয়েই।

প্রায় একই ধরনের প্রতিক্রিয়া ছিলো অন্য সবারও। তারা বলেছেন, এ ভ্রমণটা নিচক কোনো ভ্রমণ নয়। প্রায় এক সপ্তাহের এ ভ্রমণের মধ্য দিয়ে একটি নতুন দেশকে যেমন চেনা হয়েছে, ঠিক তেমনি পরিচয় হয়েছে নিজ দেশেরই নতুন কিছু মানুষের সঙ্গে। এ ভ্রমণে যারা ঠাঁই পেয়েছেন, তাদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে বেশ প্রতিষ্ঠিত। এমন সব মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়া, বন্ধুত্ব করাটা কম কথা নয়।

আয়োজনে ভারতীয় হাই কমিশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের দ্বিতীয় সচিব (প্রেস,তথ্য ও সংস্কৃতি) বিশাল জ্যোতি দাস। তিনি বলেন, শুধুমাত্র একটি ১০০ জনের একটি দলকে ভারত ভ্রমণ নয়, ভারত সরকার বাংলাদেশিদের জন্য চালু রেখেছে আরো বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন স্কলারশিপ তার মধ্যে অন্যতম।

প্রতিবছর ভারত সরকার ১০০ বাংলাদেশি তরুণকে মর্যাদাসসম্পন্ন এ সফরে আমন্ত্রণ জানায়। সে আয়োজনেরই এটি ছিলো ষষ্ঠ পর্ব। বিকেলের এ আয়োজনে শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যরাও কিভাবে এ সফরে অংশগ্রহণ করতে পারে, আলোকপাত করা হয় তার ওপরেও।  
এ সময় জানানো হয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের ফেসবুক পেজ থেকেই এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে পরিবেশন করেন সফরে অংশ নেওয়া বিভিন্ন তরুণ ডেলিগেটস।

বাংলাদেশ সময়: ০২১৩ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
এইচএমএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।