মঙ্গলবার (১৫ মে) তিনি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী (১৩-১৬ মে) চারদিনের সফরে বর্তমানে জাপানে অবস্থান করছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন পারমাণবিক বোমায় নিহত এক লাখ ৪০ হাজার জাপানি নাগরিকের স্মৃতির উদ্দেশে নির্মিত এ জাদুঘর ঘুরে দেখেন তিনি। এছাড়া জাপানের ওল্ডএজ সেন্টারে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মাহমুদ আলী।
সূত্র জানায়, টোকিওতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কনোর সঙ্গে মাহমুদ আলী বৈঠক করেছেন। বৈঠকে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি তুলে ধরেন মাহমুদ আলী। এসময় জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যত দ্রুত সম্ভব মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাশা করেন। বৈঠকে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু্’দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও অংশীদারিত্ব আরও বাড়ানোর বিষয়ে জোর দিয়েছেন।
গত বছর নভেম্বরে জাতিসংঘের থার্ড কমিটির বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাপান কোনও ভোট দেয়নি। দেশটি ভোটদানে বিরত ছিল। পরে জাপান বলেছে, বিরত থাকার অর্থ এ নয়, জাপান বাংলাদেশের বিপক্ষে রয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাপান বাংলাদেশের পক্ষেই রয়েছে।
গত বছর ১৯ নভেম্বর জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কনো ঢাকায় এসেছিলেন। তখন জাপান জানিয়েছিল রোহিঙ্গা সঙ্কটের প্রেক্ষিতে জাপান মানবিক সহায়তা দেবে। সে অনুযায়ী জাপান রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা দিয়েছে। তবে বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে জাপানের কাছ থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আরও জোরালো সমর্থন প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী টোকিওতে জাপানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী তারো আসোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এছাড়া তিনি জাপানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে পৃথক বৈঠকে মিলিত হন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
টিআর/আরবি/