জানা গেছে, লিমা চাপুইর আজিজুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ও ওই গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. নুরুল হক ভূইয়ার একমাত্র মেয়ে। গত রোববার সকালে নিজ বাড়িতে সে আত্মহত্যা করে।
পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়দের অভিযোগ, গত রোববার সকালে চাপুইর এর পার্শ্ববর্তী গ্রাম খেওয়াই এলাকায় লিমা ও ইয়াছিন নামে এক যুবককে মারধর করে স্থানীয় উদয় খান ও তার লোকজন। পরে ইয়াছিনকে চাপুইর আজিজুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ে আটক করে রাখা হয়। এরই মধ্যে লিমা নিজ বাড়িতে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
ইয়াছিন নামে ওই যুবক বছর দু’য়েক আগে লিমাদের বাড়িতে রাজমিস্ত্রীর কাজ করেছিল। তার বাড়ি আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামে।
লিমার মা নুরুন্নাহার বেগম অভিযোগ করেন, উদয় ও অন্যান্যরা তার মেয়েকে প্রকাশ্যে মারধর করেছে। আর এ অপমান সইতে না পেরেই সে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় তিনি সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করবেন বলে জানান।
চাপুইর আজিজুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এক সহকারী শিক্ষকের মাধ্যমে খবর পেয়ে তিনি এসে দেখেন ইয়াছিন নামে যুবককে আটক করে রাখা হয়েছে। তার সঙ্গে লিমা নামে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক আছে বলেও বলা হচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার কথা বলার একপর্যায়ে খবর আসে লিমা আত্মহত্যা করেছে।
মাছিহাতা ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. শরীফ ভূইয়া বলেন, ‘মূলত অপবাদ সইতে না পেরেই লিমা আত্মহত্যা করেছে। ’ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মোখলেছুর রহমানও একই অভিযোগ করে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে বাড়িতে গিয়ে উদয় কিংবা তার বাবা রহিজ খানকে পাওয়া যায়নি। তারা কোথায় আছেন এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। উদয়ের মা লুৎফা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে কাউকে মারধর করেনি। ’
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নবীর হোসেন জানান, লিমার পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়া হলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
আরএ