ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ফতেহপুর ওভারপাস চালুতে সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ যাত্রীদের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৭ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
ফতেহপুর ওভারপাস চালুতে সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ যাত্রীদের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজট নিরসনে ফেনীর ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাসের একাংশ খুলে দেওয়া হয়েছে। ছবি: বাংলানিউজ

ফেনী: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজট নিরসনে খুলে দেওয়া হলো নির্মাণাধীন চার লেন বিশিষ্ট ফেনীর ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাসের একাংশ।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অক্লান্ত পরিশ্রমে কাজটি সম্পন্ন করে অংশটি খুলে দেওয়ায় সেনাবাহিনীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পরিবহনের চালক, যাত্রী, এলাকাবাসী ও সর্বসাধারণ।
 
মঙ্গলবার (১৫ মে) বিকেলের মধ্যে নির্মাণাধীন এ ওভারপাসের একাংশ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।

দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সেনাবাহিনী দিনরাত এক করে কাজ করছে। এসময় কথা হয় মনিরুজ্জামান নামে এক সেনা সদস্যের সঙ্গে।
 
তিনি আর ১৫ দিন পরেই চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার কথা। এসময়টায়ও তিনি দিনরাত এক করে কাজ করছেন। তিনি বলেন, মানুষের ভোগান্তি লাগবের জন্য কাজ করছি, এটি আনন্দের।

ফতেহপুর এলাকার বাসিন্দা ফেনীর প্রবীণ সাংবাদিক মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া বলেন, সেনাবাহিনী ওভারপাসটির নির্মাণ কাজের দায়িত্ব নেওয়ার পর তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধের কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একাংশের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে খুলে দিয়ে সেনাবাহিনী তাদের কথা রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (১০ মে) থেকে দীর্ঘ যানজটের ভোগান্তিতে পড়েছিল এ পথের যাত্রীরা। আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে এটি আরও প্রকট হওয়ার কথা ছিল। ঢাকামুখী অংশ খুলে দেওয়ার কারণে যাত্রী সাধারণ ও সংশ্লিষ্টরা রেহায় পাবে অসহনীয় যানজট থেকে।

ওভারপাসটির এক অংশ খুলে দেওয়ায় মহাসড়কটি চলাচলকারীদের ভোগান্তি কমবে, ত্বরান্বিত হবে ব্যবসা-বাণিজ্য, গতি পাবে দেশের অর্থনৈতিক ‘লাইফ লাইন’, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ওভারপাসের অংশটি খুলে দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন-সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার-ইন চিফ মেজর জেনারেল ছিদ্দিকুর রহমান সরকার, ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন বিগ্রেডের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল রেজাউল মজিদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জাকারিয়া হোসেন, প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রোমিও নওরিন খান, নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আল আমিন কনস্ট্রাকশনের চেয়ারম্যান কবির আহমদ প্রমুখ।

ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাসের দৈর্ঘ্য ৮৬ দশমিক ৭৯ মিটার, এপ্রোচ রোড়ের দৈর্ঘ্য ৭৫৫ মিটার, এর মধ্যে ঢাকার দিকে ৩৪৭ মিটার, চট্টগ্রামের দিকে ৪০৮ মিটার, সর্বমোট গার্ডার ৩০টি, পিলার ৮টি, পাইল ৪৯০টি। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৫ কোটি ৭ লাখ টাকা।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যানজট নিরসনে মহাসড়কের এ অংশে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শিপু বিপিএল নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওভারপাস নির্মাণ কাজ শুরু করে। কার্যাদেশ পাওয়ার তিন বছরে মাত্র ৩০ শতাংশ কাজও শেষ করতে পারেনি তারা। ঠিকাদারের গাফিলতি ও স্থানীয় চাঁদাবাজদের কারণে একপর্যায়ে ওই ঠিকাদার কাজ ছেড়ে পালিয়ে যায়।

পরে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আল আমিন কনস্ট্রাকশন নামে আরেকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজটি দেওয়া হয়। গত বছরের এপ্রিল থেকে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ওভারপাসটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

সেনাবাহিনী বলছে, দু’মাসের মধ্যেই ওভারপাসটির কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

নির্মাণকারী আল আমিন কনস্ট্রাকশনের চেয়ারম্যান কবির আহম্মদ বলেন, সেনাবাহিনীর আন্তরিকতা ও পরিশ্রমের কারণে কাজটি দ্রুত শেষ হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
এসএইচডি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।