র্যাবের দাবি নিহত হামিদুল ইসলাম চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। এ সময় র্যাব ঘটনাস্থল থেকে ১টি দেশি পিস্তল, ১টি বিদেশি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি ও ২টি ম্যাগজিন উদ্ধার করেছে।
মঙ্গলবার (১৫ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কুষ্টিয়ার মিলপাড়া এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহত হামিদুল ইসলাম সদর উপজেলার ইটভাটা এলাকার মৃত রুস্তম আলীর ছেলে।
র্যাব-১২ কোম্পানি কমান্ডার এম মুহাইমিনুর রশিদ জানান, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটানোর উদ্দেশ্যে একদল সন্ত্রাসী গড়াই নদীর পাড় সংলগ্ন বালুরমাঠে অবস্থান করছে, এমন গোপন সংবাদ পেয়ে র্যাবের একটি টহলদল ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে র্যাব ও পাল্টা গুলি চালালে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন গুলিবিদ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাব জানতে পারে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তি হামিদুল বাহিনীর প্রধান শীর্ষ সন্ত্রাসী হামিদুল ইসলাম। তিনি পুলিশের তালিকাভুক্ত একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যা, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের একাধিক মামলা রয়েছে। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ র্যাব সদস্য আহত হলে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১টি দেশি পিস্তল, ১টি বিদেশি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি ও ২টি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়েছে।
২০০৭ সালে হামিদুল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড তার ছোট ভাই রাশিদুল ইসলাম ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৫ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
এএটি