এছাড়া অর্থ আত্মসাতের এক মামলায় নরসিংদী সদর উপজেলার এক প্রকল্প কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
নরসিংদী দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্রগুলো দাখিল করা হয়।
ঘুষের মামলার আসামিরা হলেন-নরসিংদী সদর হাসপাতালের প্রধান সহকারী আশরাফুল ইসলাম ও প্যাথলজি সহকারী রেজাউল করিম।
আর অর্থ আত্মসাতের মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) নরসিংদী উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. রফিউল করিমের বিরুদ্ধে।
২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর নরসিংদী সদর হাসপাতালের প্রধান সহকারী আশরাফুলের কক্ষ থেকে তাকে ও রেজাউলকে ঘুষের এক লাখ টাকাসহ হাতেনাতে আটক করে দুদক। ওই দিনই দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ফজলুল বারী তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, হাসপাতালের কাপড় ধোয়াই কাজের বিল উত্তোলন ও পরে কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মের্সাস মায়ের দোয়া ট্রেডার্সের মালিক নাছির মিয়ার কাছে আড়াই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন আশরাফুল। তার দাবির ভিত্তিতে আলোচনা করে নাছির মিয়া দুই দফায় আশরাফুলকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা দেন। এরপর আরও এক লাখ টাকার জন্য নাছির মিয়াকে চাপ দেন আশরাফুল। এমন পরিস্থিতিতে নাছির মিয়া দুদকে অভিযোগ করেন। পরে ঘুষের টাকা নেওয়ার সময় আশরাফুলকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় ঘুষ নেওয়ায় সহযোগিতা ও টাকা লুকানোর চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় রেজাউল করিমকে।
তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রণব কুমার।
অন্যদিকে বিআরডিবির প্রকল্প কর্মকর্তা মো. রফিউল করিমের বিরুদ্ধে পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্পের ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৮০৮ টাকা আত্মসাতের মামলা রয়েছে। রফিউলের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর নরসিংদী সদর থানায় মামলা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৮
এসআই