মহাসড়কের ফতেহপুরে রেলওয়ে ওভারপাসের নির্মাণকাজের কারণে সৃষ্ট এ যানজটে বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার টানা পাঁচ দিনের যানজটে নাজুক অবস্থায় পড়তে হয় এ পথে চলাচলকারীদের। তৈরি হয়েছিলো ১২০ কিলোমিটারেরও বেশি যানজট।
বৃষ্টি কমে যাওয়া এবং পুলিশের দায়িত্বশীল ভূমিকার কারণে যানজট কমছে বলে মনে করছেন পরিবহন চালক, শ্রমিক ও যাত্রীরা।
এদিকে মঙ্গলবার (১৫ মে) বিকেলের মধ্যে নির্মাণাধীন এ ওভারপাসের একাংশ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এ অংশটি খুলে দিলে যানজট অনেকাংশেই কমে যাবে বলে মনে করছেন মহাসড়কে কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট দেলোয়ার হোসেন।
রাস্তার কাভার্ডভ্যান, ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের চালকরাও মনে করছেন ওভারপাসটির অন্তত একটি অংশ চালু হলেও যানজট কমে যাবে। পড়তে হবে না সীমাহীন দুর্ভোগে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যানজট নিরসনে মহাসড়কের এ অংশে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শিপু বিপিএল নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওভারপাস নির্মাণ কাজ শুরু করে। কার্যাদেশ পাওয়ার তিন বছরে মাত্র ৩০ শতাংশ কাজও শেষ করতে পারেনি তারা। ঠিকাদারের গাফিলতি ও স্থানীয় চাঁদাবাজদের কারণে এক পর্যায়ে ওই ঠিকাদার কাজ ছেড়ে পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আল আমিন কনস্ট্রাকশন নামে আরেকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজটি দেওয়া হয়। এ কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬১ কোটি টাকা। গত বছরের মার্চ থেকে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে শুরু হওয়া নির্মাণ কাজের বেশ অগ্রগতিও হয়েছে। তবে দীর্ঘ ছয় বছরেও ফতেহপুর রেল ক্রসিংয়ের এ উড়াল সেতুর (ওভারপাস) নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি।
জেলা ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক মীর গোলাম ফারুক জানান, যানবাহন চলাচল ঠিক রাখার জন্য ট্রাফিক পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। ওভারপাসটির অন্তত একটি অংশ খুলে দেওয়া হলে যানজট নেমে যেতে পারে শূন্যের কোটায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৮
এসএইচডি/জেডএস