ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে ভিন্নধর্মী আয়োজন ‘মা তোমায় ভালোবাসি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৪ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৮
লক্ষ্মীপুরে ভিন্নধর্মী আয়োজন ‘মা তোমায় ভালোবাসি’ আদরের সন্তানকে চুমু খাচ্ছেন একজন মা। ছবি: বাংলানিউজ

লক্ষ্মীপুর: মা একটি মধুর নাম। মায়ের সঙ্গে পৃথিবীর অন্য কারো তুলনা হয় না। সন্তানদের উন্নত ভবিষতের জন্য সারাজীবন ত্যাগ স্বীকার করেন মা। তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা দিয়ে সব ধরনের বিপদ-আপদ থেকে সন্তানকে আগলে রাখেন।

একটি শিশুকে ছোট থেকে বড় করতে একজন মা সর্বাধিক ভূমিকা রাখেন। মায়ের ভালোবাসা পৃথিবীর অন্যদের ভালোবাসাকেও হার মানায়।

মা তার ভালোবাসার বিনিময়ে সন্তানদের কাছ থেকে কিছুই আশা করেন না। তাই সন্তানদেরও উচিত মায়ের সঙ্গে বিনয়ভাবে কথা বলা, তাদের সর্বদা হাসি-খুশি রাখা।

মায়ের প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশে সন্তানদের উৎসাহ করতে লক্ষ্মীপুরে ভিন্নধর্মী আয়োজনে বিশ্ব মা দিবস পালিত হয়েছে। মায়েদের পা ধুয়ে দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা  ছবি: বাংলানিউজ দিবসটি উপলক্ষে রোববার (১৩ মে) সকালে ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের উদ্যোগে ‘মা তোমায় ভালোবাসি’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রায়  ১১ শ শিক্ষার্থী ও পাঁচ শতাধিক মা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় মায়েদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

দিনব্যাপী উৎসবমুখর আয়োজনে ছিল মায়ের পা ধোয়া, অনুভূতি প্রকাশ, মাকে নিয়ে লেখা প্রকাশসহ নানান অনুষ্ঠান। মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সন্তান তার নিজ হাতে মায়ের পা ধুয়ে দেয়। এ সময় অশ্রুসিক্ত মায়েরা তাদের সন্তানদের জন্য দোয়া করেন।

অনুষ্ঠান শেষে তিনজনকে সেরা মা হিসেবে পুরস্কৃত করেন আয়োজকরা।

শিক্ষার্থীরা বলে, ‌‌‌'আজ মা দিবস। বছরের এদিনটি মায়ের জন্য। অন্যদিন হয়তো বলা হয় না মা তোমায় ভালোবাসি। তাই মাকে আজ জড়িয়ে ধরে বলেছি মা তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত একজন মা বলেন, ‌'একটি শিশু যখন কথা বলতে শিখে তখন প্রথম সে মা বলে ডাকে। সন্তানের জন্য মায়ের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। মায়েরা সবসময় চায় তাদের ছেলে-মেয়েরা ভালো থাকুক।

ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান সুবজ বলেন, ‌'মায়ের প্রতি ভালোবাসা একদিনের জন্য নয় সারাবছর হওয়া উচিত। তাই দিবসটি উপলক্ষে মায়ের প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের জন্য শিক্ষার্থীদের উৎসাহ করতে এ আয়োজন করা হয়েছে। যেন শিক্ষার্থীরা তাদের মায়েদের সেবা করতে উৎসাহী হয়। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৮
এসআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।