রোববার (১৩ মে) দুপুর ১টা ১০ মিনিটে টিএসসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার ৩২ দিন পার হলেও এখনও প্রজ্ঞাপন হয়নি।
যুগ্ম-আহ্বায়ক নূরুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কোটা বাতিলের ঘোষণার পর আর কোটা থাকে না। তাহলে এটা নিয়ে কমিটি কেন। সুতরাং কোটা নিয়ে আর কমিটির দরকার হয় না। তবে প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখতে বলেছেন, সেটার জন্য কমিটি হতে পারে।
আন্দোলনকারীরা কোটা সংস্কার চেয়েছে বাতিল চায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে বিকেল ৫টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন হলে, আমরা ঘোষণা দিচ্ছি আমরা আর কেউ রাজপথে আন্দোলন করবো না। আমরা কোটা ১০ শতাংশ চেয়েছি। তবে ১৫ শতাংশও আমাদের সহমত আছে। ১৫ শতাংশ কোটা রেখেও যদি আজকে প্রজ্ঞাপন জারি হয়, তাহলেও আমরা মেনে নিবো।
আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, শিক্ষার্থীরা ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রজ্ঞাপন জারির জন্য মিছিল করেছে। সরকার যদি মনে করে কারো জন্য কোটা রাখবে তাহলে রাখতে পারে। এতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু তা হতে হবে আমাদের পাঁচ দফা দাবির আলোকে।
আরও পড়ুন> কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন দাবিতে ফের উত্তাল ঢাবি
এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে মিছিলে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন।
এতে নেতৃত্ব দেন পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, নুরুল হক নূর।
শনিবার (১২ মে) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মলনে রোববার (১৩ মে) দেশের প্রতিটি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।
এর আগে গত বুধবার (০৯ মে) দুপুরে একই দাবিতে টিএসসিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় বৃহস্পতিবারের (১০ মে) মধ্যে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন না হলে আগামী রোববার (১৩ মে) থেকে প্রতিটি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন হাসান আল মামুন।
তারও আগে মঙ্গলবার (০৮ মে) বেলা ১১টায় মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘ছাত্রসমাজের সঙ্গে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। আমরা বলে দিতে চাই ছাত্রসমাজ কোনও চক্রান্ত মেনে নেবে না। আপনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) অতি দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করে ছাত্রসমাজকে শান্ত করুন। তারা এখন ক্ষুব্ধ। তা না হলে তারা আবার রাজপথে নেমে আসবে। আমাদের আন্দোলন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও অহিংস। সামনে যে আন্দোলন চলবে সেটিও শান্তিপূর্ণ হবে। আমরা বঙ্গবন্ধুর অহিংস আন্দোলনের চেতনায় বিশ্বাসী’।
উল্লেখ্য, বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ, মহিলা কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ৫ শতাংশ, ক্ষেত্র বিশেষে জেলা কোটা ১০ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী কোটা ১ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৮
এসকেবি/জেডএস