ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সরকারকে সহযোগিতা করে মানুষের পাশে দাঁড়াবে সেনাবাহিনী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৭ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৮
সরকারকে সহযোগিতা করে মানুষের পাশে দাঁড়াবে সেনাবাহিনী বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যখনই প্রয়োজন হবে সেনাবাহিনী দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াবে। এটাই আমার দৃঢ় বিশ্বাস। অতীতের মতো সরকারকে সহযোগিতার মাধ্যমে ভবিষ্যতেও মানুষের পাশে দাঁড়াবে সেনাবাহিনী।  

রোববার (১৩ মে) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ক্যান্সার সেন্টারসহ সেনানিবাসের ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি।

 

শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ী বাংলাদেশ ক্ষুধা-দারিদ্র্যে পীড়িত থাকবে এটা আমরা চাই না। আমরা যেখানেই থাকি সেটা হোক সরকারি কিংবা বিরোধীদলে দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করি এবং করে যাবো। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উপ-কমিটি রয়েছে তারা বসে পরিকল্পনা করে, সেগুলো বাস্তবায়ন ও উন্নয়নে কাজ করি।

তিনি বলেন, আমি নিজেকেও একজন সেনাবাহিনী পরিবারের সদস্য হিসেবে মনে করি। আমার দুই ভাই সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন। সবার ছোটভাই ১০ বছরের শেখ রাসেল, তাকেও জিজ্ঞাসা করা হলে বলতো-সেনাবাহিনীতে যোগ দেবে।   

‘আমি মনে করি এজন্য আমার সঙ্গে সেনাবাহিনীর যোগাযোগ রয়েছে। এই পরিবারের সদস্য হিসেবে সেনাবাহিনীর উন্নয়ন আমার কর্তব্য। তাছাড়া স্বাধীনতা যুদ্ধে এই বাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য। ’
 
শেখ হাসিনা বলেন, সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের পাশাপাশি বর্তমান সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে তাদের ভাতা বাড়ানো, দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে জেসিওদের প্রথম শ্রেণি নন ক্যাডার পদে উন্নীত করা হয়েছে। প্যারা কমান্ডো গঠন করা হয়েছে। এছাড়া সেনাবাহিনীর সক্ষমতা উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।  

‘আওয়ামী লীগ সরকার সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। ছিয়ানব্বই সালে সরকার গঠন করে নারীদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তাদের পেশাগত উন্নয়নেও নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ’ 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথমবার অর্থাৎ ছিয়ানব্বই সালে সরকার গঠনের পর সেনানিবাসে এলে সেনা সদস্যদের সঙ্গে আমার কথা হয়। তখন তারা জানান দুপুরে রুটি খান। ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়। আমি তাদের দুপুরের খাবারে ভাতের ব্যবস্থা করি। এরপর এই সেনানিবাসে এসে তাদের সঙ্গে আমিও দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম।  

তৎকালীন বিরোধীদল বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার কথা সংসদে ঘোষণা করা হলে ওই সময় বিএনপি নেতা সাইফুর রহমান বলেছিলেন- এটা ভালো নয়। এতে বিদেশে সাহায্য পেতে সমস্যা হবে।

‘আমি বলেছিলাম, আমরা চাই না বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি থাকুক। বাংলাদেশ ভিক্ষে করে চলুক, আমরা হাত পেতে চলতে চাই না। তখন আমরা ২৬ লাখ মেট্রিক টনের বেশি খাদ্য আমরা রিজার্ভ রেখে গিয়েছিলাম। মানুষের খাদ্য নিরাপত্তায় আমরা সতর্ক। কিন্তু বিএনপি-জামাত জোট সরকার এসে তা ধ্বংস করে দেয়। ’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমারে সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ চলছে। মিয়ানমার  তাদের (রোহিঙ্গা) ফিরিয়ে নেওয়ার কথাও স্বীকার করেছে। কিন্তু কার্যকর কিছু হচ্ছে না। বাংলাদেশকে সবাই সমর্থন দিচ্ছে। আশা করি এ সমস্যার সমাধান হবে।  

অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৮
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ