এছাড়া মাইক্রোবাস চালক সজীব হাওলাদের দাফন বরিশালের গ্রামের বাড়িতে সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) একাংশের প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মা ও তনয় চাকমার মরদেহ বর্তমানে খাগড়াছড়ি সদর থানায় রাখা হয়েছে।
দুপুর ১টায় জেলা সদরের তেতুঁলতলা এলাকায় বৌদ্ধ শশ্মানে এই দু’জনের শেষকৃত্য হওয়ার কথা রয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন টিটো বাংলানিউজকে জানান, ‘মরদেহ দুইটি আমাদের হেফাজতে আছে। এখান থেকে মরদেহ দুইটি নিরাপত্তার মাধ্যমে শশ্মানে নিয়ে যাওয়া হবে। এজন্য আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
অপরদিকে সুজন চাকমা ও সেতু দেওয়ানের মরদেহ মহালছড়িতে দুপুর ২টার দিকে শেষকৃত্য করা হবে।
মহালছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জোবাইরুল হক বাংলানিউজকে জানান, মরদেহ দু’টি বর্তমানে পরিবারের কাছে রয়েছে। পারিবারিকভাবে দুপুরে শেষকৃত্য করা হবে। এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (মে ০৩) সকাল ১১টার দিকে বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা নিহত হন। এ ঘটনায় আরও একজন গুলিবিদ্ধ হন।
শুক্রবার ( মে ০৪) সকালে খাগড়াছড়ি থেকে শক্তিমানের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় রাঙামাটির বেতছড়ি এলাকায় আগে থেকে ওৎপেতে থাকা অস্ত্রধারীরা ব্রাশফায়ার করেন। এতে ইউপিডিএফ একাংশের শীর্ষ নেতা তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মাসহ পাঁচজন নিহত হয়। আহত হয় আটজন। আহতদের মধ্যে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকী চারজন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে রয়েছে।
এ ঘটনার জন্য প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফকে দায়ী করেছে জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা গ্রুপ) ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক। তবে এটি অভ্যন্তরীণ কোন্দলে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে প্রসীতের ইউপিডিএফ।
চাঞ্চল্যকর এসব খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৮
এএটি
আরও পড়ুন..
নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা
শক্তিমানের শেষকৃত্য থেকে ফেরার পথে গুলিতে নিহত ৫