পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম প্রতিনিধি দলকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন। বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই সূত্র জানায়, কক্সবাজারে পৌঁছানোর পর প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে গিয়ে রোহিঙ্গাদের দেখবেন, তাদের সঙ্গে কথাও বলবেন।
পরদিন রোববার (২৯ এপ্রিল) ঢাকায় হোটেল র্যাডিসনে প্রতিনিধি দলটির সৌজন্যে এক নৈশভোজের আয়োজন থাকবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পক্ষ থেকে। তার পরদিন সোমবার (৩০ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রতিনিধি দলটির সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সফর শেষে একই ইস্যুতে ৩০ এপ্রিলই দুইদিনের সফরে মিয়ানমার যাবে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দলটি।
এ দলে রয়েছেন জাতিসংঘে যুক্তরাজ্যের স্থায়ী প্রতিনিধি। এ ছাড়া এই দলে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও ফ্রান্সের মতো নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিও রয়েছেন। থাকছেন নেদারল্যান্ডস, কুয়েত, বলিভিয়া, ইথিওপিয়া, কাজাখাস্তান, পেরু, পোলান্ড, সুইডেন এবং আইভরি কোস্টের প্রতিনিধিও।
গত বছরের আগস্টের শেষ দিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন শুরু করে। এসময় কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়। ধর্ষণ করা হয় শত শত রোহিঙ্গা কিশোরী-নারীকে। নির্যাতন থেকে বাঁচতে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। সবমিলিয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি। এই দমন-পীড়নকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ বলে আখ্যা দেয় জাতিসংঘ।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে মিয়ানমার দমন-পীড়ন থামিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা করে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনে রাজি হলেও ঢাকার অভিযোগ, এই প্রক্রিয়ায় গড়িমসি করছে নেপিদো। সেজন্য আসন্ন বর্ষায় পরিস্থিতি আরও বিপর্যয়কর হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা পর্যবেক্ষকদের।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৮
কেজেড/এইচএ