বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি গেটের সামনে মানববন্ধন শেষে এ ঘোষণা দেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি।
শ্রমিকদের এ ঘোষণার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে কয়লা খনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ২০ গ্রামের সমন্বয় কমিটি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান, ক্ষতিগ্রস্ত ২০ গ্রামের সমন্বয় কমিটির নেতা মশিউর রহমান বুলবুল, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামসহ প্রায় ৫ শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী ও এলাকাবাসী।
আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো- চুক্তি অনুযায়ী সব শ্রমিকদের নিয়োগ, প্রতি বছর শতকরা ৪০ শতাংশ দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ, সব শ্রমিকদের ক্ষেত্রে গ্রাচুইটি, আন্ডারগ্রাউন্ড শ্রমিকদের ছয় ঘণ্টা ডিউটি, ক্ষতিগ্রস্ত ২০টি গ্রামের বাড়ি-ঘরের দ্রুত স্থায়ী সমাধান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার প্রত্যেক পরিবার থেকে খনিতে চাকরি, এলাকার নেতা ও শ্রমিক নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার প্রমুখ।
আন্দোলনকারীরা বলেন, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির এক্সএমসি/সিএমসির শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। এর ফলে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে দুর্বিসহ জীবন-যাপন করছেন। বিষয়টি জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী, জ্বালানি উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা হলেও কোনো কাজ হয়নি। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের ফলে ২০টি গ্রামের বাড়ি-ঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও স্থায়ী সমাধান মেলেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৮
আরবি/