বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের প্রধানপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আব্দুল হালিম ওই এলাকার বছির উদ্দিনের ছেলে।
আহতরা হলেন- প্রধানপাড়া এলাকার ধনির উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সামাদ (৪০), ধনির উদ্দিনের স্ত্রী সফিজান (৬০), মহির উদ্দিনের স্ত্রী সালেমা খাতুন (৬০), চেহারুর ছেলে মহির উদ্দিন (৬৫), আব্দুল হালিমের ছেলে হাইবুল ইসলাম (৩২), আব্দুল আলিমের স্ত্রী মল্লিকা খাতুন (৩০) আব্দুল হালিমের স্ত্রী আলেমা খাতুন (৫৫)। তাদের পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই এলাকায় ২২ বিঘা জমি নিয়ে আব্দুল হালিম ও গাড়িয়ালপাড়া এলাকার মনসুর আলীর সঙ্গে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ওই জমিতে আব্দুল হালিম ও তার ভাইয়েরা ভোগদখল করে আসেছেন।
বৃহস্পতিবার মনসুর আলী, তার ছেলে সুফিয়ান ও মুসা তাদের দলবল নিয়ে ওই জমি দখল করতে যান। এসময় তারা ওই জমিতে চাষ করা মরিচ ও ভুট্টার গাছ কাটতে শুরু করেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আব্দুল হালিম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এছাড়া হালিমের পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে আহত হন আরও সাতজন।
নিহত হালিমের মেয়ে আনোয়ারা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা জমিতে মরিচ তুলছিলাম। এমন সময় মনসুর তার লোকজন নিয়ে আমাদের ক্ষেতের ফসল নষ্ট করতে শুরু করেন। এতে বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাদের ওপর হামলা করেন। আমার বাবাকে হত্যা করেছেন তারা। এর বিচার চাই আমরা।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-অপারেশন) রঞ্জু আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় নিহত হালিমের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলেই আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৮
টিএ