ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

তারেককে ফেরানো সম্ভব, বললেন আইনমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৮
তারেককে ফেরানো সম্ভব, বললেন আইনমন্ত্রী মন্ত্রণাল‌য়ের সভাক‌ক্ষে সাংবা‌দিক‌দের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। 

তিনি বলেছেন, আমাদের ভূখণ্ডে তিনি (তারেক রহমান) অপরাধ করেছেন। যখন তিনি অপরাধ করেছেন তখন বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন।

তবে একথা ঠিক যে, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের কোনো এক্সট্র্যাডিশন (প্রত্যার্পণ) চুক্তি নাই। কিন্তু এক্সাট্র্যাডিশন করতে কোনো বাধা নাই। এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনাও চলছে।
 
বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

যে আইনে তারেক রহমানকে দেশে ফেরত আনা যায় তার ব্যাখা দিয়ে আনিসুল হক বলেন, জাতিসংঘের নির্দেশনায় মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিটেন্স অ্যাক্ট আমাদের দেশে হয়েছে। এই আইনটা করার প্রয়োজনীয়তা ছিল জাতিসংঘের একটা নির্দেশনার কারণে।

‘তখন বলা হয়েছিল জাতিসংঘভুক্ত দেশগুলোর এই আইন থাকলে ট্রান্সবর্ডার বা যে কোনো অপরাধী যদি এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় চলে যায় তাকে যেন ধরে আনার সুবিধা থাকে। সেই জন্য এই আইন করা হয়েছিল। জাতিসংঘ যখন এই আইন করার পরামর্শ দেয় তখন উদ্দেশ্যটা এটাই ছিল বলে তারা বলেছে। ’ 

তিনি বলেন, আজকাল অনেক বর্ডার ট্রান্স বা ট্রান্সন্যাশল ফৌজদারি অপরাধ ঘটছে। সেই জন্য মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাক্টের অধীনে আমরা তারেক রহমানকে দেশে ফেরত আনতে পারবো, সেটা এখন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নাও থাকে তাতেও আমরা পারবো।

পাসপোর্টের সঙ্গে নাগরিকত্বের সম্পর্ক বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যদি থাকেন, আপনার যদি বাংলাদেশি পাসপোর্ট না থাকে তাহলে কিন্তু আপনার নাগরিকত্ব ‘অ্যাফেক্টেড’ হয় না।
 
‘পাসপোর্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার আপনাকে ট্রাভেল করার অনুমতি দিয়েছে। এটা একটা ট্রাভেল ডকুমেন্টের মতো। বাইরে যাওয়ার জন্য পাসপোর্টটা প্রয়োজন হয়, বাইরে গিয়ে আপনি যে বাংলাদেশি নাগরিক পরিচয় দেবেন, এর আইডেন্টিটি-ই হচ্ছে এই পাসপোর্ট। ’

আনিসুল হক বলেন, একজন পলাতক ও দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করার জন্য তার পাসপোর্ট ব্রিটিশ সরকারের কাছে ‘সারেন্ডার’ করেছেন, তার মানে তিনি বলেছেন-আপাতত আমি বাংলাদেশের নাগরিক থাকতে চাই না, আমি এই পাসপোর্টটা সারেন্ডার করলাম, আপনারা আমাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিন। এটাই আমি জানতে পেরেছি।  

‘তবে ব্রিটিশ সরকার তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে কি-না, সে সম্পর্কে আমার কাছে কোনো তথ্য নাই। যদি দিয়ে থাকে ভালো কথা। তার মানে এই মুহূর্তে তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ডিনাই (প্রত্যাখান) করেছেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ভবিষ্যতে তিনি বাংলাদেশের নাগরিক হতে চান তিনি আর পারবেন না, এটা তো না। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৮/আপডেট: ১৮১৮ ঘণ্টা
এসএম/ওএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।