বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
আগামী ১৫ মে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হবে।
ইসি সচিব বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন ওই এলাকার সব শিল্প কারখানা বন্ধ থাকবে। আর স্থানীয় নির্বাচনে কোনোভাবেই সেনা মোতায়েন হবে না- এ সিদ্ধান্ত রয়েছে কমিশনের। বিজিবি-র্যাব-পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক। প্রয়োজনে দেশের যে কোনো এলাকা থেকে আরও বেশি নিরাপত্তা সদস্য আনা হবে সিটি দু’টিতে।
নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, কমিশনের প্রতি আস্থা আছে বিধায়ই বিএনপি ভোটে অংশ নিচ্ছে।
সভায় চার ইসি, ইসি সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বিজিবি-র্যাবের মহাপরিচালকসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা-গাজীপুরের প্রশাসন-পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, বিগত দিনে আপনাদের সহযোগিতায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচন সফল হয়েছে। এই নির্বাচনও সফল হবে বলে আশা করছি।
সভার কার্যপত্রে বলা হয়, নির্বাচন উপলক্ষে গাজীপুর সিটিতে পুলিশ-এপিবিএন-আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যদের নিয়ে গঠিত মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে ১৯টি। এছাড়া থাকবে র্যাবের ৫৭টি টিম এবং ২৯ প্লাটুন বিজিবি। আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন ও নির্বাচনী অপরাধে তাৎক্ষণিক সাজা দিতে থাকবেন ৮৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
আর খুলনা সিটিতে থাকবে ১০টি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স। সেখানে র্যাবের টিম থাকবে ৩১টি, থাকবে ১৬ প্লাটুন বিজিবি। এ সিটিতে আরও থাকবেন ৪৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৮
এইচএ/