আসাদ গেট থেকে মোহাম্মদপুর মোড় যেতে ছয়টি স্কুল-কলেজ রয়েছে। এর কোনটিরই নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা নেই।
শনিবার (২১ এপ্রিল) সকালে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও দেখা গেছে রাস্তার দুই পাশে এক লাইন করে গাড়ি পার্ক করে রাখা হয়েছে। একেবারে আসাদ গেট থেকে মোহাম্মদপুর কাঁচা বাজারের সামনে দিয়ে প্রায় মোড় পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে প্রায় শতাধিক গাড়ি পার্ক করে রাখা হয়েছে। এভাবে রাস্তার দুই পাশে গাড়ি পার্ক করে রাখায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তায় পার্ক করে রাখা গাড়ির চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোনো স্কুলেরই নির্দিষ্ট পার্কিং প্লেস নেই। যে কারণে রাস্তাতেই পার্ক করতে হয়।
চালক মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ট্রাফিক থেকে আমাদের এক লাইনে দাঁড়াতে বলা হয়েছে। দুই লাইন হলেই জরিমানা করে দেয়। রাস্তায় না পার্ক করলে আমরা কোথায় যাবো। এখানে ছয়টি স্কুলের একটিতেও পার্কিং সুবিধা নেই।
এই সড়কে সকালে অফিস টাইমে এবং দুপুরে প্রতিদিন দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। কোনো কোনো দিন দুই কিলোমিটার পার হতেই ১ ঘণ্টা লেগে যায়। তাছাড়া এই রাস্তায় অনেকগুলো টার্ন রয়েছে। যে কারণে প্রতিটি গলির মাথায় একটা করে সিগন্যাল থাকে। ফলে মোহাম্মদপুরবাসীর জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে এই অবৈধ পার্কিং।
ডিসি ট্রাফিক (পশ্চিম) লিটন কুমার সাহা বাংলানিউজকে বলেন, স্কুলের বাচ্চাদের আনা-নেওয়ার জন্য এখানে গাড়ি আসে, কোনো স্কুলেই পার্কিং ব্যবস্থা নেই। তাই আমরা বাচ্চাদের কথা চিন্তা করে রাস্তার দুই পাশে এক লাইনে গাড়ি পার্ক করার সুযোগ দিয়েছি। তাও বেশিক্ষণ নয় সকালে এসে নামিয়ে দিয়ে আবার দুপুরে এসে চলে যাবে। তারপরেও মাঝে মাঝে এক লাইন থেকে দুই লাইনে চলে যায় তখনই আমরা অভিযান চালাই। স্কুল-কলেজ বা মার্কেটে পর্যাপ্ত পার্কিং সুবিধা না থাকাতে এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
অবৈধ পার্কিং বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, আইনত রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করা দণ্ডনীয় অপরাধ। তারপরেও বাস্তবতার নিরিখে অনেক সময় রাস্তায় পার্কিং সুবিধা দিতে হয়। বিশেষ করে কম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় এই সুযোগ দেয় ট্রাফিক বিভাগ। তবে অধিক যানবাহন চলাচলকারী রাস্তায় সেই সুযোগ দেওয়া উচিৎ না। অনেক সময় কিছু করাও থাকে না কেননা বাচ্চাদের স্কুল-কলেজের কথা চিন্তা করতে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৮
এসএম/আরআর