গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাতপাড় ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের আনন্দ বৈরাগীর ছেলে প্রলয়। চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় সে।
দীর্ঘ ৬ বছর ধরে বাড়ির বারান্দায় ও গাছের নিচে শিকলবন্দি জীবনযাপন করছে সে। মানসিক ভারসাম্যহীন প্রলয়কে দিনের বেলায় একটি গাছের সঙ্গে, আর রাতের বেলা ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়।
প্রলয়ের বাবা আনন্দ বৈরাগী ও মা সাথী বৈরাগী বলেন, দেড় বছর বয়সের সময় হঠাৎ একদিন ঝাকুনি দিয়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর একটু বড় হলে তার চলাফেরায় নানা ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়। তার কাছে ছোট-বড় যেই আসুক তাকে মারধর করতো। অন্যের জমিতে গিয়ে ফসল নষ্ট, দৌড়ে গিয়ে বাড়ির পাশের নদীতে নেমে পড়তো। এ সব কারণে প্রথমে তাকে কবিরাজ দেখানো হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। পরে গোপালগঞ্জ জেলা সদরে ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হই। চিকিৎসা চলাকালীন একটু সুস্থ হলেও এখন আবার আগের মতো হয়ে গেছে। গোপালগঞ্জ ফরিদ মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসক প্রহ্লাদ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থায় মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীরা অহরহই সুস্থ হয়ে যাচ্ছে। এ শিশুটিরও সঠিক চিকিৎসা করালে সে স্বাভাবিক সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে পারে।
চিকিৎসা করাতে গিয়ে এখন নিঃস্ব প্রলয়ের পরিবার। তাই চিকিৎসার জন্য সরকার ও হৃদয়বান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন প্রলয়ের মা-বাবা।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৮
আরএ