বুধবার (২৫ এপ্রিল) দিনগত রাত ১টায় রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা থেকে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ তাকে আটক করেন।
কায়েস নেত্রকোনা জেলা সদরের লক্ষ্মীগঞ্জ ইউনিয়নের ষাটকাহনিয়া গ্রামের মানিক আকন্দের ছেলে।
নেত্রকোনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বোরহান উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, গত ৪ এপ্রিল সকালে শহরের সাতপাই এলাকার মন্ডল বাড়ির সামনের সড়কের একটি গাছ থেকে স্কুলছাত্রী দীপ্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
দীপ্তি শহরের কাটলি এলাকার বাসিন্দা কাপড় ব্যবসায়ী নয়ন মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
মরদেহ উদ্ধারের আগে ৩ এপ্রিল দিনগত রাতে বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলে বেরিয়ে যায় দীপ্তি। সেদিন কায়েস ও তার পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার কথা ছিলো। রাত বাড়তে থাকলে কায়েসের আসতে দেরি হওয়ায় দীপ্তি ভাবে সে প্রতারিত হয়েছে।
পরে একটি চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করে দীপ্তি। ওই চিরকুটে তার মৃত্যুর জন্য সে তার প্রেমিক কায়েসকে দায়ী করে। পাশাপাশি তাদের প্রেমসহ সব সম্পর্কের কথা কায়েসের ভাবী মুন্নী জানেন বলে চিরকুটে উল্লেখ করে যায় দীপ্তি।
এদিকে মরদেহ উদ্ধারের পরদিন দীপ্তির মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৮
জেডএস