আটকরা হলেন- সৈকত (১৫), সাব্বির (১৪) এবং বাড়ির মালিক বিল্লাল ভান্ডারি (৫০) ও তার ছেলে শাহজালাল (১৭)।
বুধবার (২৫ এপ্রিল) পুলিশ ওই চার জনকে আটক করে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাচপুর ইউনিয়নের ললাটি গ্রামের বিল্লাল ভান্ডারির বাড়িতে ভাড়া থাকে ওই শিশুর পরিবার। মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) রাতে একই এলাকার হাসিবের ছেলে সৈকত ও মিজানের ছেলে সাব্বির নাচ শেখার কথা বলে বাড়ি থেকে শিশুটিকে বের করে। এরপর বাড়ির পাশের জঙ্গলে নিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এসময় শিশুটি চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এলে সৈকত ও সাব্বির পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় শিশুটি বাবা ওই রাতে সোনারগাঁও থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ প্রথমে ওই বাড়ির মালিক বিল্লাল ভান্ডারি ও তার ছেলে শাহজালালসহ ৭ জনকে আটক করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সৈকত ও সাব্বিরকে আটক করা হয়। অপর পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আহত শিশু স্থানীয় একটি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। সে সৈকত ও সাব্বিরের সঙ্গে নাচ শেখতো। শিশুটির বাবা দিনমজুর। এ ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, শিশু ধষর্ণের অভিযোগে অভিযুক্ত ২ কিশোর ও তথ্য গোপন করায় ওই বাড়ির মালিক ও তার ছেলেকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৮
জিপি