বুধবার (২৫ এপ্রিল) সকালে রুয়েট’র সকল কর্মচারী অফিস বর্জন করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এ কর্মবিরতির ফলে নগরীর বিভিন্ন রুটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বাস ক্যাম্পাস ছেড়ে যায়নি।
এর আগে মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) সকালে আন্দোলনকারীরা আব্দুস সালাম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে ধর্মঘট শুরু করে প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। তাদের দেওয়া সময়ের মধ্যে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে না পারায় বুধবার অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তারা।
আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবিগুলো হলো- সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের সরিয়ে নতুন গার্ড নিয়োগ এবং ক্যাম্পাস জুড়ে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ ও ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার ও পুরো ক্যাম্পাস সিসি টিভি ক্যামেরায় তদারকির আওতায় নিয়ে আসা।
এদিকে, এ মামলার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান বাংলানিউজকে বলেন, মামলার তদন্তের বিষয়ে আমার কাছে তথ্য নেই। অপর ওসি (তদন্ত) মাহবুব আলমের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশনা দেন তিনি।
ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার জোরদারের দাবির ব্যাপারে রুয়েট’র উপাচার্য অধ্যাপক মোহা. রফিকুল আলম বেগ বাংলানিউজকে বলেন, কর্মচারীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৮
টিএ