বুধবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন সিআইডির উপপরিদর্শক এএইচএম ফজলে রাব্বি।
শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফাহাদ বিন আমিন চৌধুরী ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে শরিফুল ইসলামকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এরপর সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি জানায়, রাশিয়ায় পড়াশোনা করতে গিয়ে শরিফুল শেখেন অভিনব প্রতারণার কৌশল। দেশে ফিরে চাকরি নেন একটি সুপারশপে। গ্রাহকরা কার্ড দিয়ে অর্থ পরিশোধের সময় নিজের হাতঘড়িতে সংযুক্ত বিশেষ ডিভাইসের মাধ্যমে কার্ডের সব তথ্য হাতিয়ে নিতে থাকেন এবং লিখে রাখতে থাকেন ওই কার্ডের পিন নম্বর। তারপর সেসব দিয়ে ডুপ্লিকেট কার্ড বানিয়ে হাতিয়ে নিতে থাকেন বিপুল পরিমাণ অর্থ।
আটকের পর তার কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, বিভিন্ন ব্যাংকের ১ হাজার ৪শ’ ক্লোন কার্ড, একটি ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ কার্ড রিডার ও রাইটার, তিনটি মেশিন, সচল ডিজিটাল হাতঘড়ি (গ্রাহকদের তথ্য চুরিতে ব্যবহৃত), দুটি মিনি কার্ড রিডার ডিভাইস, পাসপোর্ট ১৪টি, মোবাইল ফোন সেট ৮টি, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের নেক্সাস ক্রেডিট কার্ড একটি, পরচুলা একটি ও একটি কালো রঙের সানগ্লাস এবং ৩টি এনআইডি কার্ড জব্দ করা হয়।
হাতঘড়িতে লুকানো ডিভাইসে এটিএম কার্ডের তথ্যচুরি!
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৮
এমআই/এমজেএফ