বুধবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টায় জালালকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর মাথালপাড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করেন কিশোরীর স্বজনরা।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) জহুরুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে মাথালপাড়া গ্রামে ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যায় ওই কিশোরী। সেখানে তার ফুফা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এ বিষয়টি কাউকে জানালে কিশোরীকে মেরে ফেলারও হুমকি দেন জালাল। কিন্তু কিছুদিন ধরে ওই কিশোরীর শারীরিক পরিবর্তন দেখে স্বজনরা তাকে পাবনার একতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করে জানতে পারেন সে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তারপর ওই কিশোরী বিষয়টি স্বজনদের খুলে বলে। পরে মঙ্গলবার রাতে জালালকে জিজ্ঞেস করতে তার বাড়িতে যান স্বজনরা। এসময় তিনি পালিয়ে যেতে চেষ্টা করলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে আটক করেন তারা।
তিনি আরো বলেন, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জালালকে থানায় নিয়ে আসে। পরে সকালে আবারো কিশোরীকে প্রাথমিক প্রেগনেন্সি টেস্ট করে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা যায়। তবে বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে জালালের সম্পৃক্ততা জানা যাবে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবন্ধী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। দুপুরে জালালকে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৮
টিএ