বুধবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে বৃষ্টির সঙ্গে টানা ৮/১০ মিনিট শিলা পড়তে থাকে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হয়।
ফলে উঠতি ইরি-বোরা ধান ও ভুট্টা ক্ষেত লণ্ডভণ্ড হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। নষ্ট হয়েছে চাষির সবজি ক্ষেত। সব মিলিয়ে কৃষক পরিবারকে সর্বশান্ত করেছে এ শিলাবৃষ্টি।
এ শিলাবৃষ্টিতে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী ও কালীগঞ্জ উপজেলা। পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা উপজেলায় শিলাবৃষ্টির কোন খবর পাওয়া নি। তবে গত মাসের শেষদিন ভয়াবহ শিলাবৃষ্টিতে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এ দুই উপজেলা।
কালীগঞ্জ উপজেলার সুকান দীঘি এলাকার স্কুল শিক্ষক শাহ আলম বাংলানিউজকে জানান, ভয়াবহ এ শিলাবৃষ্টিতে এ অঞ্চলের ইরি বোরো ধান, ভুট্টা ও সবজির ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাকা ধান শিলের আঘাতে মাটিতে ঝড়ে পড়েছে। সবজি ক্ষেতের ডালপালা ফুল ও ফল ঝড়ে পড়েছে মিলার আঘাতে।
আদিতমারী উপজেলার বনচৌকী এলাকার কৃষক নাজিমুদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, কয়েকদিন গেলেই ধানগুলো ঘরে তোলা যেত। এমন সময় আধাপাকা ধান শিলার আঘাতে মাটিতে পড়ে গেছে। তাদের এলাকায় সকালেও শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি।
একই উপজেলার কমলাবাড়ি এলাকার সবজি চাষি আব্দুল করিম বাংলানিউজকে জানান, এ শিলাবৃষ্টিতে শসা, কড়লা, ঝিঙা, চালকুমড়াসহ সব ধরনের সবজি ক্ষেতের অভাবনীয় ক্ষতি হয়েছে। সবজি গাছের ডালপালা ও গাছ ছিঁড়ে নষ্ট হয়েছে অপরিপক্ক সবজি।
এর আগে গত মার্চ মাসের শেষদিনে লালমনিরহাটে শিলাবৃষ্টিতে জেলার অর্ধশত ঘরবাড়ির টিনের চালা ফুটো হয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সেই ধকল না কাটতে আবারো এ শিলাবৃষ্টিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কৃষকসহ সাধারণ মানুষজন।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ বাংলানিউজকে জানান, শিলাবৃষ্টির বিষয়ে ইউএনও এবং জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৮
আরএ