ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঢাবিতে বাদ জোহর কবি বেলাল চৌধুরীর জানাজা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৮
ঢাবিতে বাদ জোহর কবি বেলাল চৌধুরীর জানাজা কবি বেলাল চৌধুরীর মরদেহে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি বেলাল চৌধুরীর মরদেহে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কেন্দ্রীয় শহীদমিনার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নেওয়া হয়েছে। সেখানে বাদ জোহর তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে কবির মরদেহবাহী গাড়ি শহীদমিনারে আসে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

কবি বেলাল চৌধুরীকে শ্রদ্ধা জানাতে এসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বেলাল চৌধুরী বটবৃক্ষ ছিলেন। বাংলার মাটি-মানুষ ও আকাশ নিয়ে লিখতেন তিনি। তার লেখায় এসব ফুটে উঠেছে। কলকাতায়ও তার জনপ্রিয়তা ছিল। তার মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

সাংস্কৃতিক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান-নুর কবি বেলাল মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বলেনে, কবি বেলাল চৌধুরী ছিলেন উজ্জ্বল নক্ষত্র, প্রগতিশীল মানুষ ছিলেন তিনি। আমাদের কাছে তিনি বেলাল ভাই হিসাবে পরিচিত ছিলেন। যে কোন মানুষ চলে গেলেই শূন্যতা তৈরি হয়। বেলাল ভাইয়ের সেই শূন্যতা পূরণ হবে না।  

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এক মিনিট নীরাবতা পালন করে জানাযার জন্য সোয়া ১২টার দিকে বেলাল চৌধুরীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে।

কবিকে শ্রদ্ধা জানাতে বুধবার সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদমিনার প্রাঙ্গণে অবস্থান করছেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষজন। দেশবরেণ্য কবিদের পাশাপাশি সাংবাদিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ আত্মীয়-স্বজনসহ কবিতাপ্রেমী মানুষেরা উপস্থিত হন।

বেলাল চৌধুরীর ভাতিজা রফিক-উম-মুনীর চৌধুরী জানান, শ্রদ্ধা নিবেদন ও জানাজা শেষে ফেনীর শর্শদীতে বেলাল চৌধুরীকে দাফন করা হবে। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বাদ জোহর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ১২টা পর্যন্ত এ শ্রদ্ধা নিবেদন চলবে।  

মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ষাট দশকের অন্যতম কবি বেলাল চৌধুরী। তিনি ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, রক্তশূন্যতা, হাইপোথাইরোটিজসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। জীবনের শেষ দিনগুলোতে কবি মূত্রনালির সংক্রমণজনিত ‘সেফটিসেমিয়া’ রোগেও ভুগছিলেন।

বেলাল চৌধুরীর উল্লেখযোগ্য কবিতার বইয়ের মধ্যে আছে ‘নিষাদ প্রদেশে’, ‘আত্মপ্রতিকৃতি’, ‘স্থিরজীবন ও নিসর্গ’, ‘স্বপ্নবন্দী’, ‘সেলাই করা ছায়া’, ‘কবিতার কমলবনে’, ‘যাবজ্জীবন সশ্রম উল্লাসে’, ‘বত্রিশ নম্বর’।  

সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৪ সালে তিনি একুশে পদক পান। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারও। ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী গ্রামে ১৯৩৮ সালের ১২ নভেম্বর তার জন্ম।

কবি বেলাল চৌধুরীর মরদেহে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৮
এজেডএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।