কথাগুলো বলছিলেন রানা প্লাজা ধসে আহত শিলা বেগম।
শিলার ভাষ্য মতে, শরীরের ক্ষত প্রতিরাতেই মনে করিয়ে দেয় রানা প্লাজার ১৮ ঘণ্টা বন্দি জীবনের কথা।
২০১৩ সালে ২৪ এপ্রিল সকালে রানা প্লাজার ভবন ধসে পড়লে ১৮ ঘণ্টা হাতের ওপর সিমেন্টের পিলার নিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলেন তিনি। পরে উদ্ধার করার সময় হাতের ওপরের সিমেন্টের পিলারটি পড়ে পেটের ওপর। এতে পেট ও বাম কিডনিতে সমস্যা হয়ে যায়। আহত হওয়ার ঘটনায় বিভিন্ন সংস্থা থেকে যে পরিমাণ অনুদান তিনি পেয়েছিলেন তা চিকিৎসায় শেষ হয়ে গেছে।
শিলা বলেন, ‘এখনো হাত, পেট আর কিডনিতে অনেক সমস্যা বুঝতে পারি রাত হলেই। চিকিৎসা করানোর টাকা নাই, আর টাকা ছাড়া কোথাও চিকিৎসা করতে চায় না। আমারে দেখার কেউ নাই, অভাবের কারণে সংসার ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গেছে।
বড় বোনের বাসায় থাকে গতবছর অষ্টম শ্রেণিতে গোল্ডেন পাওয়া মেয়ে তানজিলা আর সাভার থানা স্ট্যান্ডে চতুর্থ বোনের বাসায় থাকে শিলা।
এভাবে অভাব-অনটনে অসুস্থ শরীর নিয়েই বেঁচে থাকতে হচ্ছে তাকে। যন্ত্রণায় কাতরালেও তার কিছুর করার নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৮
আরএ