ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ধোঁয়ার কুণ্ডলি বেরোতেই হাজির অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৮
ধোঁয়ার কুণ্ডলি বেরোতেই হাজির অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি বসুন্ধরা সিটিতে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া-ছবি-শাকিল আহমেদ

ঢাকা: রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের লেভেল ৯ থেকে হঠাৎ ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। মুহূর্তেই বেজে ওঠে ফায়ার অ্যালার্ম। অগ্নিকাণ্ড ভেবে আতঙ্কিত মানুষেরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করছেন। একের পর এক 'অগ্নিকাণ্ডে আটকে পড়া' মানুষকে উদ্ধার করা হচ্ছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। 

খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে হাজির ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি। ফায়ার সার্ভিসের টার্ন ট্যাবল লেডার (টিটিএল) দিয়ে বসুন্ধরা সিটির আগুন নেভানো হচ্ছে।

পাশেই পানির পাম্প নিয়ে হাজির ফায়ার সার্ভিস।
 
এছাড়া সব ধরনের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বসুন্ধরা সিটির নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং দল। তবে এসব ঘটনা বাস্তব নয়, প্রতীকী। মানে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারের অত্যাধুনিক মহড়ামাত্র।
মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বসুন্ধরা সিটিতে অগ্নিনির্বাপণ মহড়ার সময় এমন চিত্র দেখা যায়। কিভাবে আগুন দ্রুত নেভানো এবং আটকে পড়া মানুষকে নিরাপদে উদ্ধার করা যায় সেসব দেখানো হয় মহড়ায়। সবাইকে সচেতন করা হয়। বসুন্ধরা সিটিতে অগ্নিনির্বাপণ মহড়ার দৃশ্য দেখতে পথচারীসহ হাজারও মানুষ ভিড় জমান। এসব মানুষকে নানা ধরনের সতর্কতামূলক তথ্য দেওয়া হয়। সাধারণত অসাবধানতার কারণে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এমন ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও গ্যাসের চুলা ব্যবহারে সতর্ক করা হয়।
 
অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধের পদক্ষেপ হিসেবে নিয়মিত আয়োজনের অংশ হিসেবে এ মহড়ায় অংশগ্রহণকারীদের আকস্মিক দুর্ঘটনা মোকাবিলা করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
 
বসুন্ধরা সিটি ডেভলপমেন্ট লিমিটেড (বিসিডিএল), পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে অগ্নি-দুর্ঘটনা প্রতিরোধের এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

বসুন্ধরা সিটিতে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া-ছবি-শাকিল আহমেদফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তর, রমনা ও মোহাম্মদপুর স্টেশনের ইউনিট এবং বসুন্ধরা সিটির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, ফায়ার সেফটি বিভাগ, কর্মচারী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা এই মহড়ায় অংশ নেন।
 
মহড়া শেষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট মামুন মাহমুদ বলেন, এ মহড়ার মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছি সব সময় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। যাতে আগুনের সূত্রপাত না হয় সেই বিষয়ে আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। আমরা সব বিষয় পরীক্ষা করে দেখেছি বসুন্ধরার ফায়ার ইক্যুইপমেন্ট অত্যাধুনিক মানের। আপনাদের ভয়ের কিছু নেই। ২১ থেকে ২২ তলা পর্যন্ত আমরা আমাদের যন্ত্রপাতি দিয়ে আগুন নেভাতে পারবো। বসুন্ধরা সিটি আমাদের সবার সম্পদ। এই সম্পদকে আমরা রক্ষা করবো।
 
তিনি আরও বলেন, ‘এমন মহড়ার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাই। ’
 
প্রতি মঙ্গলবার বসুন্ধরা সিটি বন্ধ থাকে। তাই এদিনে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। অবশ্য উৎসুক অনেক পথচারী হঠাৎ এসব দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে আশপাশে ভিড় জমায়। তাদের উদ্দেশে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়, ‘অগ্নিনির্বাপণ মহড়া চলছে। আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। ’ ঘোষণার পর উপস্থিত জনতার উদ্বেগ কেটে যায়।

বসুন্ধরা সিটির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) মেজর (অব.) মোল্লা মুশতাক রেজা
প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা মহড়া শেষে সচেতনতাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। মহড়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বসুন্ধরা সিটির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) মেজর (অব.) মোল্লা মুশতাক রেজা।  

এসময় তিনি বলেন, সবার সহযোগিতায় আজকের মহড়া দারুণ সফল হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সঙ্গে আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মহড়া সফল করেছি। বসুন্ধরা সিটির প্রতীকী আগুনকে আমরা বিট করতে সক্ষম হয়েছি। আজকের মহড়ায় যারা অংশগ্রহণ করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
 
মহড়া তত্ত্বাবধানে ছিলেন ফায়ার অ্যান্ড সেফটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী। এ মহড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিসিডিএল-এর নির্বাহী পরিচালক (মেকানিক্যাল) মাহাবুব মোর্শেদ খান, বিসিডিএল এবং বিসিডিএল-এর বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৮
এমআইএস/আরআর/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad