সোমবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কবাখালি ইউনিয়নের ডাঙ্গাবাজার এলাকার বাসিন্দা প্রীতি বিকাশ চাকমা ওরফে ডা. প্রীতির (৪০) বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এ গুলিগুলো উদ্ধার করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এসময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে প্রীতি বিকাশ পালিয়ে যায়।
উদ্ধার করা গুলি ও সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে- ১শ’ ৫৬ রাউন্ড এসএমজি/এলএমজির গুলি, ৯০ রাউন্ড এমজির গুলি, এবং ১শ’ ৪ রাউন্ড নাইন এমএম পিস্তলের গুলি। এছাড়া একটি রাম দা, ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড, বেশ কিছু ভারতীয় সিম, মোবাইল ফোন এবং বিপ্লবি বই।
দীঘিনালা জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফেরদৌস জিয়া উদ্দিন মাহমুদ বাংলানিউজকে জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় প্রীতি বিকাশ চাকমা ইউপিডিএফ-(প্রসীত) গ্রুপের একজন সদস্য। তিনি চিকিসক হওয়ায় ইউপিডিএফের আহত রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। তার বাসায় অভিযান চালিয়ে ঘরে প্লাস্টিকের কৌটায় এবং মাটির নিচ থেকে গুলি ও এন্টিনা উদ্ধার করা হয়। এসময় পাশের একটি বাড়ি থেকে অন্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামছুদ্দিন ভূইয়া জানান, উদ্ধারকৃত সরঞ্জাম ও আটক ব্যক্তিকে এখনো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৮
ওএইচ/