বাংলাদেশে হাতেগোনা কয়েকটি অনলাইন পত্রিকা থেকে বিভিন্ন খবর হুবহু কপি করে প্রকাশ করে চলছে হাজারো অনলাইন পত্রিকা। তবে এ ব্যাপারে কপিরাইট অফিসের কোনো ভূমিকা নেই কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি।
সোমবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে আন্তর্জাতিক কপিরাইট দিবস উপলক্ষে কপিরাইট অফিস আয়োজিত ‘মেধা-সম্পদ বিকাশে কপিরাইট আইনের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন রাজা চৌধুরী।
আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মসিউর রহমান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট কপিরাইট আইন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবের সভাপতি কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, কপিরাইট আইন সম্পর্কে সচেতনতা নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি। যারা সৃজনশীল কাজের সঙ্গে জড়িত, তারা সবাই এ আইনের অংশীজন। আমাদের অর্জিত মেধা-সম্পদ অন্য কেউ দাবি করলে আমরা সাধারণত আদালতে যেতে তথা আইনগত ব্যবস্থা নিতে চাই না। আমাদের এ মনোবৃত্তি পরিহার করতে হবে। মেধা-সম্পদ সংরক্ষণ করার জন্য আমাদের সবাইকে শক্তভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, বিদ্যমান কপিরাইট আইন সংশোধনপূর্বক যুগোপযোগী কপিরাইট আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি খসড়া অংশীজনদের মতামত প্রদানের জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও কপিরাইট অফিসের ওয়েবসাইটে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। এ আইন সম্পর্কে সবার মতামত দেয়া জরুরি। এটিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। এতে ভুল-ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে কপিরাইট সংশ্লিষ্ট আমাদের অংশীজনরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সুতরাং, এ আইন নিয়ে সবার পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা প্রয়োজন।
সেমিনারে পঠিত প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন স্টাডিজ বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক খান মাহবুব, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ ও বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক শেখ সাদী খান।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৮
এইচএমএস/এমজেএফ