পাশাপাশি তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিল্লুর রহমান এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন মঠবাড়িয়া উপজেলার পাতাকাটা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে মুকুল আক্তার (২৬) ও হোতখালী গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে আল আমিন (৩০)।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চিত্রা গ্রামের ফারুক ফরাজীর স্ত্রী মমতাজ বেগম ও মমতাজের চাচাতো বোন মুকুল আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে আল আমিনের। বিষয়টি জানতে পেরে মমতাজকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মুকুল। এতে সম্মতি দেন আল আমিন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০০৯ সালের ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় মমতাজকে নিয়ে পাশের গোলবুনিয়া গ্রামে খালার বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন মুকুল। এসময় আল আমিন তাদের সঙ্গে ছিলেন। রাত ৯টার দিকে গোলবুনিয়া গ্রামের একটি মাঠের মধ্যে মমতাজকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রাখেন তারা। পরদিন সকালে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মমতাজের স্বামী ফারুক ফরাজী বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর আল আমিন ও মুকুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলায় প্রাপ্ত তথ্য ও ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আসামিদের অনুপস্থিতিতে দুপুরে এ রায় দেন বিচারক।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৮
এসআই