সরেজমিনে দেখা যায়, ৫০০ মিটার সড়কের পুরোটাই ইট খোয়া উঠে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও রাস্তার সংলগ্ন বদ্ধ ড্রেনের পানি উপচে পড়ায় সড়কটিতে এখন হেঁটে চলাচল করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, এ সংযোগ সড়ক দিয়েই প্রতিদিন সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজ, নবারুন বালিকা বিদ্যালয়, সাতক্ষীরা প্রি-ক্যাডেট স্কুল ও ইকরা ক্যাডেট অ্যাকাডেমি নামে চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উত্তরণ ও বারসিক নামে দুটি এনজিও, সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও মসজিদ, সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরি, সাতক্ষীরা সরকারি গণগ্রন্থাগার, জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীসহ সুলতানপুর, রাজারবাগান, মুনজিতপুর, মুন্সীপাড়া এবং আশপাশের গ্রামের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সংষ্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে সড়কটি। কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে জনগণের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। পুরো সড়ক জুড়ে তৈরি হয়েছে অসংখ্য গর্ত। পিচ উঠে গিয়ে পরিণত হয়েছে মাটির রাস্তায়। বৃষ্টি হলেই জমে হাঁটু পানি। কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মোড়ের ড্রেনের সঙ্গে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের দিক থেকে আসা ড্রেনের সংযোগ নেই। এতে অধিকাংশ সময় ড্রেনের পঁচা পানি উঠে আসে সড়কের উঠে থাকে।
নবারুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক বাংলানিউজকে জানান, গত এক দশকে এই সড়কে একটি ইটও পড়েনি। প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজে আসে। এ সড়কের যে অবস্থা তাতে এখান দিয়ে যাতায়াতকারী মানুষের প্রচণ্ড দুর্ভোগে পোহাতে হয়।
একই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া বাংলানিউজকে জানায়, সড়কটিতে সব সময় ময়লা পানি জমে থাকে। নিয়মিত যাওয়া আসা করতে করতে পঁচা কাদা-পানিতে পায়ে ঘাঁ হয়ে যায়। তবুও স্কুলে আসতে হয় আমাদের। সড়কটি অবিলম্বে সংস্কারের দাবি জানায় সে। সাতক্ষীরা মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সারাবছর কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক ও অনার্স বিভিন্ন বর্ষের কোন না কোন পরীক্ষা চলে। জেলার বিভিন্ন স্থানের শিক্ষার্থীরা এখানে পরীক্ষা দিতে আসে। কলেজে প্রবেশের একমাত্র সড়ক হলেও তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্ষায় হাঁটু পর্যন্ত পানি থাকে কলেজের সামনে।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফিরোজ আহম্মেদ বাংলানিউজকে জানান, শহরের প্রাণকেন্দ্রের এ সড়কটি সংষ্কারের খুবই প্রয়োজন। আমরা সড়কটি সংষ্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আশা করছি জুন মাসের পর কাজ শুরু করতে পারবো। এছাড়া সড়কের পাশের ড্রেনটিও যেন দ্রুত সংযোগ করা হয়, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৮
এনটি