রোববার (২২ এপ্রিল) রাতে ওই মৃত নবজাতকের মা আসিয়া বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আসিয়া বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) প্রসব ব্যথা শুরু হলে তাকে সুপার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয় এবং সিজারের মাধ্যমে নবজাতক ভূমিষ্ঠ হয়।
কিন্তু শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচার্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে শিশুটির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হাসপাতালে প্রায় ৫০ হাজার টাকা বিল আসে। এই বিল ফারুক নামে একজনের দেওয়ার কথা থাকলেও শিশুটির মৃত্যুর পর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বিল পরিশোধ করতে না পারায় নবজাতকের মরদেহ নিয়ে হাসপাতালে বন্দিদশায় থাকতে হয় আসিয়াকে।
তবে ফারুক বাংলানিউজকে জানান, নবজাতক শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার বিনিময়ে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শিশুটি মারা যাওয়ায় হাসপাতালের কোনো বিল পরিশোধ করেননি তিনি।
সুপার ডায়াগনস্টিক সেন্টার হাসপাতালের পরিচালক আনিসুল ইসলামকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি রোগীকে আটকে রাখার ঘটনা অস্বীকার করেন।
এ ঘটনায় ঢাকা সিভিল সাজের্ন্ট এহসানুল করিম বাংলানিউজকে জানান, আদালতের নিদের্শ মতে মরদেহ বিলের জন্য হাসপাতালে আটকে রাখা যাবে না।
তবে ঘটনাটি তখনও তিনি জানতেন না। খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা মিললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৪ ঘণ্টা,এপ্রিল ২৩, ২০১৮
এনএইচটি