রোববার (২২ এপ্রিল) বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পিয়ারাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুটে নেওয়ারও অভিযোগ উঠে তাদের বিরুদ্ধে।
হামলায় আহতরা হলেন- সুরমা বেগম, রহমত উল্লাহ, হালিমা বেগম ও রুনা আক্তার। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়িগুলো অভিযুক্ত স্বামীসহ তার ভাই ও বোনদের।
সুজনের ছোট বোন রুমা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, রাজুসহ ২৫ থেকে ৩০ জনের একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িঘরে অতর্কিত হামলা চালান এবং ব্যাপক ভাঙচুর করেন। এসময় হামলাকারীরা আমার ভাই ও বোনদের আরো ৫ বাড়িতে হামলা চালিয়ে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যান। এতে বাঁধা দিলে আমাকেসহ চারজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেন তারা।
জানা গেছে, শুক্রবার (২০ এপ্রিল) রাতে পিয়ারাপুর এলাকায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ জোসনা বেগমকে হত্যা করা হয়। পরে শনিবার ভোরে মরদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যান স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা থেকে স্বামী সুজনকে আটক করা হয়।
আটক সুজন পিয়ারাপুর এলাকার মমিন উল্লাহর ছেলে। নিহত জোসনা বেগম লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্চানগরের বাহারের মেয়ে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তার স্বামী সুজনকে কুমিল্লা থেকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বাড়িঘর ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৮
এসআর/টিএ