ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

তারেককে ফেরাতে ব্রিটেন সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে

মহিউদ্দিন মাহমুদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৮
তারেককে ফেরাতে ব্রিটেন সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

লন্ডন থেকে: দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে দেশে ফেরাতে ব্রিটেন সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লন্ডন সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২১ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকেলে লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার কেন্দ্রীয় হলে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়া উপলক্ষে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি ব্রিটেন সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি– সাজাপ্রাপ্ত আসামি কি করে এখানে থাকে। তাদের বলেছি তাকে ফেরত দিতে। যেভাবেই হোক তাকে আমরা দেশে ফেরত নেবোই। এরা দুর্নীতি করে জমানো টাকায় দেশের সর্বনাশ করছে। ’

তারেক জিয়ার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সে একটা সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। তাকে আবার বিএনপি চেয়ারপারসন বানানো হয়েছে। পলাতক ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি কিভাবে আবার একটা দলের চেয়ারপারসন হয়? অর্থাৎ এই দলটা এখন রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া সর্বস্ব দল হয়ে পড়েছে। ’

জিয়াউর রহমান, তার স্ত্রী খালেদা জিয়া ও তাদের ছেলে তারেক জিয়া খুনি হিসেবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই খুনিদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। তারেক রহমান লন্ডনে বসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে। দেশে যেমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে এসেছে, এখন লন্ডনে বসেও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। ’

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই আমাদের হাই-কমিশন হয়েছে। আর সেই হাই-কমিশনে ঢুকে জাতির জনকের ছবি নিয়ে অপমান করেছে। তারা এতো সাহস কোথা থেকে পায়? হামলা মোকাবেলায় হাই-কমিশন ব্যর্থ হয়েছে। আমি জানি না আমাদের হাই-কমিশনে তখন কারা বসে ছিলো এবং তারা সেখানে কিছুই করতে পারলো না কেনো?’

দূতাবাসে হামলা বিষয়ে প্রবাসী বাঙালিদের উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই ঘটনাগুলো যারা ঘটিয়েছে, তারা কোথাও চলাফেরা করে না? তাদের দেখেন না? যে হাত দিয়ে জাতির পিতার ছবি ভেঙেছে, তাদের যা করার তা করতে হবে। তাদের চেহারা চেনেন না?’

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, জাতির পিতার নাম মুছে অনেকবার ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিলো। তারেক জিয়াতো দূরের কথা, ওর বাপ জিয়াউর রহমানও চেষ্টা করে মুছে ফেলতে পারেনি। জাতির পিতার নাম মুছে ফেলা যাবে না। ’

তারেক রহমানের লন্ডনে পালিয়ে থাকা ও দুর্নীতি মামলার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন. ‘এতোই যদি বুকে সাহস থাকতো, সততার জোর থাকতো, তাহলে নিশ্চয়ই দেশে ফিরে গিয়ে মামলার মোকাবেলা করতো। সততার সাহস নেই বলে মামলা মোকাবেলার করার সাহস পায়নি। পারে শুধু মানুষের ওপর হামলা করতে, আঘাত করতে। ’ 

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- লন্ডন প্রবাসী প্রখ্যাত সাংবদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচএম মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম সিদ্দিকী, স্থানীয় নেতা শাহ আজিজুর রহমান, হরমুজ আলম, আলতাফুর রহমান মুজাহিদ, নুরুল হক লালামিয়া, ব্যারিস্টার অনুকুল তালুকদার ডালটন প্রমুখ।

ব্রিটেন ছাড়াও পুরো ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল সংখ্যেক নেতাকর্মী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় বিশাল মিলনায়তনটি কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়েছি ছিলো।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৮
এমইউএম/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।