প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে শনিবার (২১ এপ্রিল) রাতে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ হক বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার (২০ এপ্রিল) রাতে এসআই রাকিবকে জেলা পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরে আলম।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১৮ এপ্রিল গভীর রাতে প্রাইভেটকারে করে বাঞ্ছারামপুর থেকে ৪৬০ বোতল ফেনসিডিলের চালান ফাউসা এলাকায় সরবরাহ করার সময় তালিকাভুক্ত এক মাদক বিক্রেতা আটক করেন এসআই রাকিব। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে দেড় লাখ টাকা রফাদফা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, এসআই রাকিবের দাবি করা টাকা দেওয়ার পরই ওই মাদক বিক্রেতাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে জব্দ হওয়া ফেনসিডিল ফেরত দেননি রাকিব।
এরপর বৃহস্পতিবার সকালে মাদকের চালানে যুক্ত বিক্রেতা ‘ভালো মানুষ’ সেজে থানায় ওসিকে বিষয়টি জানান। পরে ওসি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। আর এরপরই মূলত বিষয়টির জানাজানি হয়।
সূত্র জানায়, বিষয়টি জানাজানির পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বৃহস্পতিবার দুপুরে আড়াইহাজারে এসে এসআই রাকিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে রাতে তাকে প্রত্যাহার করা হয়। তবে ওই মাদক বিক্রেতার নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
এর আগেও এসআই রাকিবের বিরুদ্ধে অর্থ নিয়ে আসামি ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে জানায় ওই সূত্রটি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৮
এমএ/