ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

গুরুদাসপুরে শিশুকে শেকলে বেঁধে পাঠদান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৮
গুরুদাসপুরে শিশুকে শেকলে বেঁধে পাঠদান শেকলে বেঁধে রাখা হয়েছে শিশু জিমকে।

নাটোর: নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের চলনালী গ্রামের একটি মাদ্রাসায় পাঠদানে বাধ্য করতে জিম খাতুন (১০) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে শেকলে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই মাদ্রাসার হুজুর ইয়ারুল আলীকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ।

জিম খাতুন গুরুদাসপুর উপজেলার মষিন্দা শিকারপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম ভুট্টুর মেয়ে।

আটক শিক্ষক ইয়ার আলী একই উপজেলার পাঁচচিশা গ্রামের মো. রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, জিম ওই মাদ্রাসায় কোরআন শিক্ষার জন্য ভর্তি হয়েছিল। সে প্রায়ই মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যেতো। এ কারণে হুজুর ইয়ারুল তাকে পায়ে শেকল বেঁধে আটকে রাখতো। শুক্রবার (২০ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে ওই মাদ্রাসা থেকে জিম পালিয়ে আসে। পরে শনিবার (২১ এপ্রিল) সকালে পৌর সদরের চাচৈকড় বাজার পাড়া থেকে জিমকে উদ্ধার করা হয়। বিকেলে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ইয়ারুলকে আটক করা হয়।

মেয়েটির মা মিনিয়ারা বেগম বাংলানিউজকে জানান, জিম পড়াশুনা তেমন করতে চাইনা। সেজন্য মাদ্রাসার হুজুরকে তিনি শাসন করতে বলেছিলেন। কিন্তু হুজুর যে এমন করবে বুঝতে তিনি পারেননি।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস বাংলানিউজকে জানান, মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। দুপুরে তার মায়ের কাছে তুলে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।