এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই মাদ্রাসার হুজুর ইয়ারুল আলীকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ।
জিম খাতুন গুরুদাসপুর উপজেলার মষিন্দা শিকারপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম ভুট্টুর মেয়ে।
পুলিশ জানায়, জিম ওই মাদ্রাসায় কোরআন শিক্ষার জন্য ভর্তি হয়েছিল। সে প্রায়ই মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যেতো। এ কারণে হুজুর ইয়ারুল তাকে পায়ে শেকল বেঁধে আটকে রাখতো। শুক্রবার (২০ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে ওই মাদ্রাসা থেকে জিম পালিয়ে আসে। পরে শনিবার (২১ এপ্রিল) সকালে পৌর সদরের চাচৈকড় বাজার পাড়া থেকে জিমকে উদ্ধার করা হয়। বিকেলে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ইয়ারুলকে আটক করা হয়।
মেয়েটির মা মিনিয়ারা বেগম বাংলানিউজকে জানান, জিম পড়াশুনা তেমন করতে চাইনা। সেজন্য মাদ্রাসার হুজুরকে তিনি শাসন করতে বলেছিলেন। কিন্তু হুজুর যে এমন করবে বুঝতে তিনি পারেননি।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস বাংলানিউজকে জানান, মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। দুপুরে তার মায়ের কাছে তুলে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
এনটি