শনিবার (২১ এপ্রিল) সকালে গৃহবধূর মরদেহ সদর হাসপাতালে রেখে তার স্বামী পালিয়ে যায়। স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করেছে বলে দাবি নিহতের স্বজনদের।
অভিযুক্ত স্বামী সুজন সদর উপজেলার পিয়ারাপুর এলাকার মমিন উল্লাহ পাটওয়ারীর ছেলে। জোসনা লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্ছানগর এলাকার মো. বাহারের মেয়ে।
নিহতের স্বজনরা জানায়, ছয় বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই জোসনাকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয় স্বামী সুজনসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এছাড়া তার স্বামী একাধিক পরকীয়া জড়িত ছিল। এসব নিয়ে বিভিন্ন সময় জোসনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো।
শুক্রবার (২০ এপ্রিল) সকালে তাকে মারধর করা হয়েছে। সন্ধ্যায় উভয়পক্ষের পরিবার বিষয়টি মীমাংসা করে। তবে রাতের কোনো এক সময়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য শনিবার সকালে নিহতের মরদেহ সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন অভিযোগ স্বজনদের।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, মৃত অবস্থায় জোসনাকে হাসপাতালের নিয়ে আসা হয়। পরে হাসপাতালে মরদেহ রেখে তার স্বামী পালিয়ে যায়।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৮
এসআর/এএটি
