বারবার মূর্ছা যেতে যেতে কথাগুলো বলছিলেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীতে বেপরোয়া বাসের চাপায় নিহত ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মী রিয়াজুল ইসলামের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।
শুক্রবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে মহাসড়কের নিজকুঞ্জরা এলাকায় চট্টগ্রামগামী একটি বাসের চাপায় নিহত হন ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির করৈয়া এলাকার ইনচার্জ রিয়াজুল ইসলাম ও শ্রমিক রবিউল।
রাত ৯টার দিকে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে গিয়ে দেখা যায়, নিহত রিয়াজুল ইসলামের স্ত্রী ও দুই মেয়ের আহাজারিতে পুরো এলাকা ভারী হয়ে উঠেছে। সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা ছিল না নিহতের সহকর্মীদের কারো।
রিয়াজুলের স্ত্রী সাবিনা কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, ‘মিম’ ‘মিম মামনি’ বলে ছোট মেয়েটাকে কে ডাকবে? বড় মেয়েটাকে কে স্কুলে দিয়ে যাবে? দুই মেয়ে নিয়ে আমি কি করে বেঁচে থাকবো।
নিহত রিয়াজুলের সহকর্মী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লাইন টেকনিশিয়ান আশরাফুল আলম নিশাত বাংলানিউজকে বলেন, নিহত রিয়াজুলের মেয়ে সাদিয়া আক্তার (১২) ও সানিয়া আক্তারকে (৬) সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আমরা পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা মানুষকে সেবা দিতে এসেছি, জীবন দিতে আসিনি। আর কত প্রাণ ঝরলে থামবে পরিবহনের বেপরোয়া গতি। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
পল্লী বিদ্যুৎ ছাগলনাইয়া অঞ্চলের ডিজিএম আবু বক্কর শিবলী বলেন, বাসটির বেপরোয়া গতির কারণেই দু’জনকে প্রাণ হারাতে হয়েছে।
স্টার লাইন গ্রুপের পরিচালক মাইন উদ্দিন বলেন, হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে বাসটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারানোয় এ ঘটনা ঘটেছে। বেপরোয়া গতির কারণে নয়।
এদিকে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নাজমুল আহসান শামীম বলেন এ ঘটনায় নিহত দু’জন ছাড়াও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরো দু’জন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭
এসএইচডি/এএ