শুক্রবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের খান্দার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ওসি বলেন, এডি শাহজাহানের ওপর সশস্ত্র হামলা করতে সব ধরনের তথ্য সরবরাহ করে আসছিলো সোহাগ। ঘটনার দিন সে পাসপোর্ট অফিসের ভেতরে অবস্থান করছিলো। সর্বশেষ অফিসের কাজ শেষে করে এডি শাহজাহান কবিরের বের হওয়ার খবরটিও সোহাগই দেয়। তার দেওয়া খবর পেয়ে নূর আরাফাত শুভ এডি শাহজাহান কবিরকে অনুসরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসী সশস্ত্র হামলা চালায় পাসপোর্ট অফিসের এডি শাহজাহান কবিরের ওপর।
তবে সোহাগ এডির ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি না। কিন্তু তদন্তে তথ্যদাতা হিসেবে জড়িত থাকার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলেও জানান গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।
গত ২৯ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে বগুড়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক শাহজাহান কবিরকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের অফিস সহকারী শাজেনুর আলম বাদী হয়ে ওই দিন রাতে শাজাহানপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে শহরের মালগ্রাম এলাকার রমজান আলীর ছেলে হাসান আলী (৩৬), ঠনঠনিয়া হিন্দুপাড়ার আব্দুল কাদেরের ছেলে জীবন (২১), একই এলাকার আবু তালেবের ছেলে রাসেল মিয়া (৩০) ও মিলুকে গ্রেফতার করে।
পরদিন ৩০ মার্চ ভোরে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি সীমান্তের ডাঙাপাড়ার সাতকুড়ি বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মোস্তাকিম রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরে মামলার তদন্তভার থানা থেকে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে দেওয়া হয়। তদন্ত কর্মকর্তারা মোস্তাকিমকে পাঁচদিন ও তার চার সহযোগীকে চারদিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বর্তমানে ওই পাঁচ আসামি কারাগারে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে শহরের ছিলিমপুর পাওয়ার গ্রিড এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার আরেক আসামি নূর আরাফাত শুভকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৮
এমবিএইচ/জিপি